RSS Event in Kolkata

কলকাতায় আরএসএস-এর কর্মসূচিতে শেষ মুহূর্তে কাটল জট! ছুটির সন্ধ্যায় জরুরি শুনানির পর অনুমতি হাই কোর্টের

রবিবার আরএসএস-এর ওই কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসাবে থাকার কথা সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে পুলিশি অনুমতি না-পাওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় আরএসএস।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫৬
আরএসএস-এর কর্মসূচিতে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

আরএসএস-এর কর্মসূচিতে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। — প্রতীকী চিত্র।

কলকাতায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর কর্মসূচি ঘিরে অবশেষে জট কাটল। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে শেষ মুহূর্তে কর্মসূচির অনুমতি পেল আরএসএস। রবিবার সায়েন্স সিটিতে আরএসএস-এর কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চ।

Advertisement

আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর উপলক্ষে রবিবার সায়েন্স সিটিতে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৯টায় ওই কর্মসূচি শুরু হবে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে থাকার কথা সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে পুলিশি অনুমতি না-পাওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় আরএসএস। শনিবার ছুটির দিন সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি শুনানির জন্য আবেদন জানানো হয় হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের কাছে। তিনি দ্রুত শুনানির আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। মামলাকারী শশাঙ্কশেখর দে-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীর সওয়াল, একটি প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে অনুষ্ঠানটি হবে। কোনও রাস্তা দখল করে মিটিং বা সভা করা হচ্ছে না। এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। কোনও টিকিট বিক্রি করে লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। পুরসভার অনুমতি মিলেছে। এক সপ্তাহ আগে কলকাতা পুলিশের কাছে শুধুমাত্র আলঙ্কারিক অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তার পরেও তারা কোনও অনুমতি দিচ্ছে না।

বস্তুত, আরএসএস-এর ওই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের তরফে আদালতে কোনও আপত্তি জানানো হয়। রাজ্যের আইনজীবী জয়ন্ত সামন্তের বক্তব্য, ওই কর্মসূচির অনুমতি তৈরিই ছিল। কিন্তু যে ফ্যাক্স নম্বরটি দেওয়া হয়েছিল সেটি কাজ করছে না। সেই কারণে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত ‘রিপোর্ট সেকশন, কলকাতা পুলিশ ডিরেক্টরেট’ খোলা থাকবে। মামলাকারী চাইলে সেখানে অফিসার ইনচার্জের কাছে গিয়ে অনুমতিপত্র নিয়ে আসতে পারবেন।

রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি রাও জানান, ইমেল মারফত ওই অনুমতিপত্র দিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া মামলাকারী সশরীরে গিয়ে ওই অনুমতিপত্র নিয়ে আসবেন বলেও জানান বিচারপতি।

Advertisement
আরও পড়ুন