SIR in West Bengal

আর দু’এক দিনে রাজ্যের সর্বত্র এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া সম্পূর্ণ করতে চায় কমিশন, কোথায় কী সমস্যা? রাতেই ডাকা হল বৈঠক

এখনও রাজ্যের অনেক জায়গায় এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার ৭৫ শতাংশের কম। বুধবার রাত ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইআরওদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৮
বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। —নিজস্ব চিত্র।

আর দু’এক দিনের মধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা সম্পূর্ণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত কোথায় কত ফর্ম বিলি করা হয়েছে, কতটা বাকি, কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা জানতে বুধবার রাতেই বিশেষ বৈঠক ডাকা হল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সমস্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ইআরও) সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করবে। বৈঠকে থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালও।

Advertisement

কমিশন সূত্রে খবর, রাত ১০টায় বৈঠক শুরু হবে। এখনও রাজ্যের অনেক জায়গায় এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার ৭৫ শতাংশেরও কম। কেন কম ফর্ম বিলি হয়েছে, কোথাও সমস্যা হচ্ছে কি না, জানতে চায় কমিশন। বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ৬ কোটি ৮৭ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে।

৭৫ শতাংশ ফর্মও এখনও বিলি হয়নি যে সমস্ত জায়গায়, তার মধ্যে অন্যতম কসবা, যাদবপুর, বেলেঘাটা, কাশিপুর-বেলগাছিয়া, বিধাননগরের মতো বিধানসভা কেন্দ্র। এই তালিকায় রয়েছে শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, তপন, পলাশিপাড়া, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, খড়দহ, পানিহাটি, রাজারহাট-নিউটন, রাজারহাট-গোপালপুর, জয়পুর, বারুইপুর-পূর্ব, বারুইপুর-পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণ, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, মেটিয়াবুরুজ, কলকাতা বন্দর, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া দক্ষিণ, খড়্গপুর সদর, দুবরাজপুর, সিউড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কুলটি। দু’এক দিনের মধ্যে যাতে এই সমস্ত জায়গায় সব ফর্ম বিলি করা হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে চায় কমিশন।

গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। বুধবার তার নবম দিন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও)। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখে সেই অনুযায়ী এই ফর্ম পূরণ করতে হবে। তার পর তা জমা নিয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করবেন বিএলওরা। ফলে ফর্ম দেওয়ার কাজে আর বেশি দেরি করতে চাইছে না কমিশন। বুধবারের বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন