—প্রতীকী চিত্র।
ছিল ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা। কারও নিজের, কারও স্বজনের। এসআইআর পর্ব চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত, আত্মঘাতী বা আত্মহননের চেষ্টা করা একাধিক জনের নাম মিলল মঙ্গলবার প্রকাশিত খসড়া তালিকায়।
দুর্গাপুরের ডিভিসি কলোনির বাড়ি থেকে সোমবার সুবর্ণা গুঁই দত্ত (৩৭) নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ মেলে। পরিবারের দাবি, বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুবর্ণা। মঙ্গলবার দেখা যায়, মুর্শিদাবাদে শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। আত্মীয় শিবশঙ্কর সাহার খেদ, ‘‘সমাজমাধ্যমে ভুল তথ্য দেখে সুবর্ণা চরম আতঙ্কিত হয়েছিল!’’ বহরমপুরের শাহাজাদপুরের জালালউদ্দিন শেখের নামও খসড়া তালিকায় রয়েছে। তিনি এসআইআর-আতঙ্কে রবিবার আত্মহত্যা করেন, দাবি পরিবারের। এসআইআর-পর্বে আত্মঘাতী হাওড়ার রাজাপুরের জাহির মালের নামও ‘মৃত’ বলে চিহ্নিত খসড়া-তালিকায়।
দ্বিতীয় স্ত্রী বিনোদিনী রায়ের নাম ২০০২-এর তালিকায় না থাকার আতঙ্কে জলপাইগুড়ির নরেন্দ্রনাথ রায় আত্মহত্যা করেন, দাবি পরিবারের। তাঁর ছেলে ঠাকুরদাস বলেন, “তালিকায় মায়ের নাম আছে। বাবার নাম আছে মৃত হিসেবে।” এসআইআর-আতঙ্কে বীরভূমে ক্ষিতীশ মজুমদার ও বিমান প্রামাণিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নাম ‘মৃত’ হিসেবে আছে তালিকায়।
ভোটার কার্ডে নাম হাচনা রিবি। আধার কার্ডে নাম হাচনা বিবি। পরিবারের দাবি, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের হাচনা আত্মঘাতী হন সেই আতঙ্কে। তাঁর নামও তালিকায় উঠেছে ‘মৃত’ হিসেবে। এসআইআর ফর্মে নাম খয়রুল শেখ থাকায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কোচবিহারের দিনহাটার খাইরুল শেখ। খসড়া তালিকায় তাঁর প্রকৃত নাম রয়েছে। খাইরুল বলেন, “স্বস্তি পেয়েছি।” স্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ক্ষিতীশ দেবনাথের পরিবারও। দাবি, এসআইআর-আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন ক্ষিতীশ। স্ত্রী ঝুনু বলেন, “খসড়া তালিকায় নিজের নাম দেখে খুশি হয়েছেন স্বামী।”