Kolkata Earthquake

সাতসকালে ভূমিকম্প কলকাতায়, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১! কম্পন অনুভূত বাংলাদেশ এবং ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশে

জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫১

— প্রতীকী চিত্র।

সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতাতেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ ও ওড়িশাতেও।

Advertisement

জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল কলকাতা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং হলদিয়া থেকে ২৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।

ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনও তথ্য মেলেনি। গত সপ্তাহেই দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীর ছিল ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল।

কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জ়োন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জ়োন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জ়োন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জ়োন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।

এর আগে গত মাসে তিব্বতে নেপাল সীমান্তের কাছে তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। ওই ভূমিকম্পে তিব্বতে অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছিল শিলিগুড়ি, সিকিম এবং উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চলেও। উত্তরবঙ্গে ওই কম্পনের পরে এ বার বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন অঞ্চল।


Advertisement
আরও পড়ুন