Bengali Migrant Workers

আতঙ্কে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিজনদের লাইন বিধায়কের শিবিরে, পুলিশের শংসাপত্রের জন্য ভিড় ইটাহার থানার সামনে

ইটাহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই কাজ করেন গুরুগ্রামের চক্করপুরে। যা হরিয়ানার মধ্যে পড়ে। তৃণমূলের দাবি, কিছু লোকের নাম রাজ্য সরকারের কাছে তালিকাভুক্ত হয়ে এলেও বহু শ্রমিককে স্থানীয় স্তরে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ২১:১৬
Emergency help camp for Bengali migrant workers started in Itahar

পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিজনদের নিয়ে ইটাহার থানার সামনে বিধায়ক মোশারফ হোসেন। —নিজস্ব চিত্র।

নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, হরিয়ানা সরকারের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। যে চিঠিতে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে সেই রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে পুলিশি শংসাপত্র। বুধবার উত্তর দিনাজপুরে দেখা গেল আতঙ্কিত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের লাইন পড়ে গিয়েছে সহায়তা শিবিরে। ভিড় জমল থানার সামনেও।

Advertisement

ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক তথা শাসকদলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের উদ্যোগে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘জরুরি সহায়তা শিবির’। সেখান থেকে ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিধায়কের স্বাক্ষরিত শংসাপত্র। যা দেখে পুলিশের তরফে শংসাপত্র দেওয়া হবে। হরিয়ানা সরকারের চিঠির প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মমতা যে জেলাগুলির কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরও। মোশারফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই তিনি এই শিবির চালু করেছেন। আগামী কয়েক দিন ধরে তা চলবে।

Emergency help camp for Bengali migrant workers started in Itahar

সহায়তা শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিজনদের সঙ্গে ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। —নিজস্ব চিত্র।

প্রথম দিনই হাজারের বেশি মানুষ তাঁদের পরিজনদের জন্য শংসাপত্র নিতে আসেন সহায়তা শিবিরে। তাঁদের মধ্যে কয়েকশো মানুষকে নিয়ে ইটাহার থানায় যান বিধায়ক। জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বিধায়কের তরফে সমন্বয় করা হয়েছে। ইটাহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই কাজ করেন গুরুগ্রামের চক্করপুরে। যা হরিয়ানার মধ্যে পড়ে। তৃণমূলের দাবি, কিছু লোকের নাম রাজ্য সরকারের কাছে তালিকাভুক্ত হয়ে এলেও বহু শ্রমিককে স্থানীয় স্তরে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশিই আতঙ্ক সঞ্চারিত হওয়ার হওয়ার ফলে অনেকে আগেভাগেই শংসাপত্র নিয়ে রাখতে চাইছেন।

গত দু’মাস ধরে বাংলার শাসকদল ভিন্‌রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে সরব। মূলত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতেই এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি তৃণমূলের। বাংলাভাষীদের হেনস্থার প্রতিবাদে গত ১৬ তারিখ কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেছিলেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে আরও একটি ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বময়নেত্রী মমতা। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিককল্যাণ বোর্ডও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ‘আটক’ শ্রমিকদের ফেরানোর কাজে নেমেছে। হরিয়ানা থেকেও ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। এই আবহে বুধবার ইটাহারের বিধায়কের সহায়তা শিবিরে দেখা গেল আতঙ্কিত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিজনদের লম্বা লাইন।

Advertisement
আরও পড়ুন