Panagarh Accident Case

২৪ ঘণ্টা হতে চলল, অধরা পাঁচ ‘ইভটিজ়ার’! পানাগড়ে মৃত তরুণীর মা বললেন, ‘প্রশাসন বলে কিছু নেই’

২৪ ঘণ্টা হতে চলল, এখনও অধরা পানাগড়কাণ্ডের পাঁচ ‘ইভটিজ়ার’। রবিবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার পর এখনও কেন তাঁদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার মা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৮
মৃত তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

মৃত তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

২৪ ঘণ্টা হতে চলল, এখনও অধরা পানাগড়কাণ্ডের পাঁচ ‘ইভটিজ়ার’। রবিবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার পর এখনও কেন তাঁদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার মা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যা দেখা যাচ্ছে, প্রশাসন বলে কিছু নেই!’’

Advertisement

রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়ি নিয়ে এসে তরুণীর গাড়িতে বার বার ধাক্কা দেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে উল্টে যায় তরুণীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মীও হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থলেই গাড়ি রেখে চম্পট দিয়েছেন। তরুণীর গাড়ির পাশাপাশি অভিযুক্তদের গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। তাঁদের গাড়ির নম্বর ‘ডব্লিউবি ৪০ এটি১৯৭৪’। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি জনৈক বাবলু যাদবের নামে রয়েছে। গাড়ির মালিকের পরিচয় জানার পরেও কেন কাউকেই ধরা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

সুতন্দ্রা চন্দননগরের বাসিন্দা। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই সেখান থেকে আসানসোলে এসেছেন মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাঁর মেয়ের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তার আগে থানায় যাওয়ায় সময় তনুশ্রী বলেন, ‘‘আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, পুলিশ কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। না হলে এতটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন কাউকে ধরতে পারল না? প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’

তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি সুমন জয়সওয়ালকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিসিটিভি সংগ্রহ করার কাজ চলছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত হোক, তার পরেই গোটা বিষয়টি জানানো হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন