SIR in West Bengal

এসআইআরের কাজে রাজ্যে আরও পাঁচ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন! এ বার খতিয়ে দেখা হবে ডিভিশন ভিত্তিক তথ্য

রাজ্যের পাঁচ ডিভিশন প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদহ এবং জলপাইগুড়িতে কাজ করবেন এই পর্যবেক্ষকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫
রাজ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন বিএলও।

রাজ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন বিএলও। ছবি: পিটিআই।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ চলছে। সেই কাজে রাজ্যে আসছেন আরও পাঁচ পর্যবেক্ষক। রাজ্যের পাঁচ ডিভিশন— প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদহ এবং জলপাইগুড়িতে কাজ করবেন তাঁরা।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এক জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন। সুব্রত গুপ্ত ওই পদে বসেছিলেন। তা ছাড়াও রাজ্যে রয়েছেন ১২ জন এসআইআর পর্যবেক্ষক। বিভিন্ন জেলায় নিযুক্ত রয়েছেন তাঁরা। এ বার আরও পাঁচ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল, যাঁরা রাজ্যের পাঁচ ডিভিশনের কাজ খতিয়ে দেখবেন। এই দায়িত্ব পেয়েছেন কুমার রবিকান্ত সিংহ, নীরজ কুমার বানসোড়, অলোক তিওয়ারি, পঙ্কজ যাদব, কৃষ্ণকুমার নিরালা।

কমিশন জানায়, এসআইআরে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার হিসাব মিলছে। তাঁদের মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি কারও খোঁজ মেলেনি। কেউ স্থানান্তরিত হয়েছেন। কোনও ভোটার আবার ‘ভুয়ো’ বলে জেনেছে কমিশন। এই পরিসংখ্যান যাতে নির্ভুল হয়, সে দিকেই কমিশনের নজর বলে খবর। সে জন্য ডিভিশনের তথ্য খতিয়ে দেখতে নিয়োগ করা হল পাঁচ পর্যবেক্ষক।

এ রাজ্যে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার একজনও নেই, এমন বুথের সংখ্যা সাত। রাজ্যের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-এর দফতর প্রথমে যে তথ্য কমিশনকে দিয়েছিল, সেই অনুসারে সেই সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। বলা হয়েছিল, রাজ্যের ২,২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি বা সেখান থেকে কেউ অন্যত্র স্থানান্তরিত হননি। সেই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। মনে করা হচ্ছে, সে জন্য বাড়তি সজাগ হয়েছে কমিশন।

গত ৪ নভেম্বর থেকে এই রাজ্য-সহ ১২ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আগে বলা হয়েছিল, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তবে গত ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাত দিন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানায় কমিশন। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে। তার মধ্যে বুথ ব্যবস্থাপনাও সেরে ফেলতে হবে। ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজ। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার। তার পর সেই তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ, আপত্তি কমিশনে জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে প্রয়োজনে আরও সাত দিন সময় বাড়িয়ে দিতে রাজি বলে সিইও-দের জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement
আরও পড়ুন