Cyclone in Bay of Bengal

ঘূর্ণিঝড়: মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! কলকাতায় কত কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে? সমুদ্রে কত হবে ঝড়ের গতি?

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তা ঘনীভূত হয়ে শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়ে যাবে। তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১২
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস।

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। —ফাইল চিত্র।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাদ গেল না কলকাতাও। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বেশ কিছু জেলায় হতে পারে ভারী বর্ষণ।

Advertisement

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হবে। রবিবার এবং সোমবার শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলাগুলিতে। এ ছাড়া, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝা়ড়গ্রামে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে মঙ্গলবার। সঙ্গে থাকবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।

বুধবারও ভারী বৃষ্টি চলবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমানের জন্যেও। কলকাতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে এবং বৃহস্পতিবার মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তা ঘনীভূত হয়ে শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা রবিবার গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সোমবারের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ঠিক কতটা হবে, তা কোন দিকে এগোবে, সে সব তথ্য ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর আরও নিশ্চিত ভাবে দেওয়া যাবে।

নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবারের পর থেকেই বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়বে। সমুদ্র আরও উত্তাল হবে। শনিবার সমুদ্রের উপর হাওয়ার গতি বেড়ে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার এবং রবিবার তা ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটারে পৌঁছে যাবে বলে আবহবিদদের অনুমান। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে সমুদ্রে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে সমুদ্রের উপর। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন সমুদ্রেও ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সকল মৎস্যজীবীকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে হবে ২৭ তারিখের মধ্যেই।

Advertisement
আরও পড়ুন