Mystery Deaths in Howrah

হাওড়ার ফ্ল্যাট থেকে বয়স্ক বাবা-মা ও যুবক ছেলের নিথর দেহ উদ্ধার! দিদি-জামাইবাবুকে দেখতে গিয়ে থ মহিলা

মৃতদের নাম বলরাম খাঁ (৬৬), শেলি খাঁ (৫৪) এবং সমব্রিত খাঁ (৩২)। তাঁরা জগাছার শিবালয় অ্যাপার্টমেন্ট নামে একটি আবাসনে থাকতেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ১৫:১১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হাওড়ায় একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তিন জনেই আত্মহত্যা করেছেন। যদিও কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল জগাছা থানার হাটপুকুর এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি ঘরে বয়স্ক স্বামী-স্ত্রী এবং পাশের ঘর থেকে তাঁদের যুবক সন্তানের দেহ উদ্ধার হয় সকালে। মৃতদের নাম বলরাম খাঁ (৬৬), শেলি খাঁ (৫৪) এবং সমব্রিত খাঁ (৩২)। তাঁরা জগাছার শিবালয় অ্যাপার্টমেন্ট নামে একটি আবাসনে থাকতেন। মনে করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা-মা ও ছেলে।

মঙ্গলবার সকালে শেলির বোন স্বাতী মিত্র দিদির ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু দরজার এ পারে দাঁড়িয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। ফ্ল্যাটের মূল দরজাটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। উপায়ান্তর না দেখে পুলিশে খবর দেন স্বাতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জগাছা থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। তার পরেই দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী একটি ঘরে এবং পাশের ঘরে বিছানায় ছেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়েছে তাঁর। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।

মৃত বাবা-মা এবং ছেলে।

মৃত বাবা-মা এবং ছেলে। —নিজস্ব চিত্র।

স্বাতী জানান, দিদি এবং জামাইবাবুর সঙ্গে প্রায় রোজই কথা হত তাঁর। কিন্তু সোমবার রাতে কয়েক বার ফোন করে না পাওয়ায় সকালে দিদির সঙ্গে দেখা করতে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই রকম দৃশ্য যে অপেক্ষা করছ, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’ মহিলার দাবি, দিদির সংসারে কোনও অশান্তির কথা তাঁর জানা নেই। জামাইবাবু বলরাম ছিলেন জীবনবিমার এজেন্ট। দিদি পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। বোনপো অনলাইনে ছোটখাটো ব্যবসা করতেন।

আবাসনের অন্য বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্বামী-স্ত্রী সকলের সঙ্গে মেলামেশা করলেও ছেলে কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী গিয়েছিলেন ফ্ল্যাটটিতে। একটি লোন সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা হয়। কত টাকার ঋণ ছিল, তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। অন্য কোথাও দম্পতি বা তাঁদের পুত্রের ঋণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন