National Flag

দরজায় কড়া নাড়ছে স্বাধীনতা দিবস, ওঁরা ব্যস্ত জাতীয় পতাকার রূপ দিতে

চাহিদা বিভিন্ন রকমের পতাকার। তাই গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা করে কাজ করে চলেছেন শ্রমিকেরা। তৈরি হচ্ছে ১৩ ধরনের পতাকা। রয়েছে বিভিন্ন মাপ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ০১:৩৮
অন্যান্য বারের চেয়ে এ বার আরও বেড়েছে পতাকার চাহিদা।

অন্যান্য বারের চেয়ে এ বার আরও বেড়েছে পতাকার চাহিদা। —নিজস্ব চিত্র।

এক দিন পেরোলেই স্বাধীনতা দিবস। দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের আগে নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই ওঁদের। ওঁরা বলতে হাওড়ার জগাছা এলাকার উনসানির শ্রমিকেরা। দিন রাত এক করে জাতীয় পতাকা তৈরি করে চলেছেন তাঁরা। অন্যান্য বারের চেয়ে এ বার আরও বেড়েছে পতাকার চাহিদা।

Advertisement

বাড়ি, ক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক বা সরকারি-বেসরকারি দফতর— সর্বত্রই স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে শুক্রবার। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। চাহিদা বিভিন্ন রকমের পতাকার। তাই গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা করে কাজ করে চলেছেন শ্রমিকেরা। তৈরি হচ্ছে ১৩ ধরনের পতাকা। রয়েছে বিভিন্ন মাপ। কোনওটার দাম পাঁচ টাকা তো কোনওটার ১৫০ টাকা। কারিগরেরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আহ্বানের পরে কারখানাগুলিতে পতাকার চাহিদা আরও বেড়েছে।

এই অঞ্চলের পতাকার চাহিদা থাকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। কলকাতার বড়বাজারের ব্যবসায়ীরাও এখানকার কারখানাগুলি থেকেই পাইকারি দামে পতাকা কিনে নিয়ে যান। পাশাপাশি, অর্ডার আসে দেশের রাজধানী দিল্লি-সহ অসম, ওড়িশা, বিহার থেকে। তাই বিশ্রামের বালাই নেই।

কারখানা মালিক রাজু হালদার বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের পাশাপাশি বাইরের রাজ্য থেকেও বড় অর্ডার এসেছে। চাহিদা বেশ ভালই। দিন-রাত এক করে সকলে কাজ করছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় পতাকার সঙ্গে এক ধরনের আবেগ জড়িয়ে আছে। মনে হয় দেশের জন্য কাজ করছি। তাই এই কাজে ভাল লাগা আছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন