Belur ESI Hospital

বেলুড়ের হাসপাতালে জমা জলে খেলছে সাপ, আতঙ্কে রোগী থেকে চিকিৎসক, বিধায়ক বোঝালেন ভূগোল

গত দু’সপ্তাহ ধরে হাওড়ায় নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন ছিল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও জলমগ্ন জেলার বিভিন্ন জায়গা। জমা জল নেমেছে। কিন্তু পুরোটা নয়। যেমন কমলেও সাপুইপাড়া অঞ্চলের বেলুড় ইএসআই হাসপাতাল চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৫১
Belur ESI Hospital

জলমগ্ন বেলুড়ের ইএসআই হাসপাতাল। —নিজস্ব চিত্র।

বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু দুরবস্থা কাটেনি হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে। বাদ যায়নি হাসপাতালও। এখনও জলমগ্ন বেলুড় ইএসআই হাসপাতাল। জল থই থই হাসপাতালের ভিতর ও বাইরে। হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ। আতঙ্কে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়-পরিজন। কবে এই অবস্থা কাটবে, তাকিয়ে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

গত দু’সপ্তাহ ধরে হাওড়ায় নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন ছিল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও জলমগ্ন জেলার বিভিন্ন জায়গা। জমা জল নেমেছে। কিন্তু পুরোটা নয়। যেমন কমলেও সাপুইপাড়া অঞ্চলের বেলুড় ইএসআই হাসপাতাল চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির প্রভাব কমলেও হাসপাতাল চত্বর থেকে এখনও পুরোপুরি জল নামেনি। হাসপাতালের ভিতরেও জমে রয়েছে নোংরা জল। তাতে বেড়াচ্ছে ব্যাঙ। পিছু পিছু সাপ। তা ছাড়াও পোকামাকড়, মশার উপদ্রব তো আছেই।

হাসপাতালের কর্মীরা জানাচ্ছেন, চন্দ্রবোড়ার মতো বিষধর সাপও ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালের ভিতরে। গাড়িচালকেরা বলছেন। গাছের উপর থেকে যখন তখন সাপ পড়ছে গাড়ির বনেটে। বেয়ে বেয়ে কখনও তা ভিতরেও ঢুকে পড়ছে। রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা জানান, এত অসুবিধা পেরিয়েও হাসপাতাল যেতেই হচ্ছে। সকলেই নিরুপায়।

Belur ESI Hospital

আসা-যাওয়ার পথে: জল পেরিয়ে হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসকেরা জল ডিঙিয়ে চিকিৎসা করতে আসছেন। চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে সেই জল পেরিয়ে। আপাতত হাসপাতালের বহির্বিভাগ বা আউটডোর পরিষেবা অন্য জায়গা থেকে দেওয়া হচ্ছে। জমা জলের জন্য ওপিডি বিল্ডিং বন্ধ।

সমস্যার কথা শুনে ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ দুষছেন ‘ভৌগলিক চরিত্রকে।’ তিনি বোঝান, ‘‘এই হাসপাতাল হল সাপুইপাড়া অঞ্চলে। ওই জায়গার ভৌগলিক চরিত্র গামলার মতো। যার জন্য অল্প বৃষ্টি হলেও জল জমে যায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বালি বিধানসভার জল হাসপাতালের পাশের অঞ্চল দিয়ে পাস করে। তাই বেলুড় স্টেশন থেকে শেওড়াপোঁতা খাল পর্যন্ত হাই ড্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ইএসআই হাসপাতাল থেকে সাপুইপাড়া ও চকপাড়া হয়ে শেওড়াপোঁতা খাল পর্যন্ত জলনিকাশীর প্রকল্পের কাজ হবে। এর ফলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন