Hooghly Dengue Situation

চলতি বছরেহুগলিতে ডেঙ্গিরপ্রকোপ একই

নানা কর্মসূচি সত্ত্বেও কেন আক্রান্তের সংখ্যা কমল না, সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ০৮:৪৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মশাবাহিত রোগ দমনে প্রতি মাসে কর্মসূচি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু হুগলিতে ডেঙ্গি বাগে এল কই! স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান, গত বছর মে মাসের গোড়া পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০৭ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এই সংখ্যা ১০৮। শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় কমলেও বেড়েছে গ্রামীণে। বলাগড় ব্লকেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন।

নানা কর্মসূচি সত্ত্বেও কেন আক্রান্তের সংখ্যা কমল না, সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে জোরদার চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা। বলাগড় ব্লক প্রশাসনের দাবি, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সাফাই অভিযান পুরোদমে চলছে। বিশেষ দল ‌করে বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান, সচেতনতা প্রচার চলছে। প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণেও বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিললেই তাঁর বাড়ির চারপাশের ৫০টি বাড়ির এলাকা জুড়ে সাফাই করা হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে গ্রামীণ এলাকায় প্রতি মাসে নানা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি চলছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে। এরপরেও ছবিটা না বদলানোয় প্রশ্ন উঠছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত গ্রামীণ হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯। শহরাঞ্চলে ২৯ জন। মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। গত বছর একই সময়ের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৬ জন। শহরাঞ্চলে ৫১ জন। বলাগড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাত জন। গত বছর এই সময় পর্যন্ত মগরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ জন। এ বার ১২। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশ ৮ জন আক্রান্ত হুগলি চুঁচুড়া পুর এলাকায়। গতবার এই সংখ্যা ছিল দুই।

অন্যান্য মশাবাহিত রোগের মধ্যে এই বছরে এ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন, জাপানি এনকেফ্যালাইটিসে এক এবং চিকুনগুনিয়ায় তিন জন।

আক্রান্ত (মে পর্যন্ত)

২০২৪ ২০২৫

১০৭ ১০৮ জন

(গ্রামে ৭৯, শহরে ২৯)

চলতি বছরে সর্বাধিক আক্রান্ত: বলাগড় ব্লকে, ২৪ জন

ডেঙ্গি ঠেকাতে বারোমাস্যা

জানুয়ারি: মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণ। ফেব্রুয়ারি: ওই প্রজননস্থল ধ্বংসে ব্যবস্থা। মার্চ: বিদ্যালয়ে সচেতনতা প্রচার। এপ্রিল: বাজার সাফাই। মে: অভিযানে সব স্তরের মানুষকে শামিল করা। জুন: বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার। জুলাই: নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়া। অগস্ট: বাড়ি ও চারপাশে বর্জ্য নিষ্কাশন অভিযান। সেপ্টেম্বর: এলাকাবাসী ও সরকারি কর্মীদের মিলিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান। অক্টোবর: পুজো মণ্ডপে প্রচার। নভেম্বর: প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান। ডিসেম্বর:সচেতনতা বাড়াতে পাড়া বৈঠক। (সূত্র: জেলা স্বাস্থ্য দফতর)

আরও পড়ুন