Fog

কুয়াশার মরসুমে কমতে পারে দৃশ্যমানতা, বিমানবন্দরে সুরক্ষা নিয়ে বিশেষ মহড়া

শীতের সময়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কমে নেমে আসার ঘটনাও ঘটে বলে সূত্রের খবর।ঘন কুয়াশার পরিস্থিতিতে উড়ান ওঠা-নামা করার জন্য যন্ত্র-নির্ভর বিশেষ প্রযুক্তি, ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম ক্যাট-থ্রি-র প্রয়োজন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:২৬

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তর এবং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে কুয়াশার জেরে উড়ানে বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কায় ১০ ডিসেম্বর থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ থাকে। ওই সতর্কতার অঙ্গ হিসেবে শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান ওঠা-নামা এবং যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে জড়িত বিভিন্নদফতরকে সঙ্গে নিয়ে কম দৃশ্যমানতার পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর পরিচালনা নিয়ে বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হল।

শীতের সময়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কমে নেমে আসার ঘটনাও ঘটে বলে সূত্রের খবর।ঘন কুয়াশার পরিস্থিতিতে উড়ান ওঠা-নামা করার জন্য যন্ত্র-নির্ভর বিশেষ প্রযুক্তি, ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম ক্যাট-থ্রি-র প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরের মূল রানওয়ের দুই দিকেই ওই প্রযুক্তি বসানো হয়েছে।

কম দৃশ্যমানতার পরিস্থিতিতে উড়ান ওঠা-নামার বিষয়টি নিরাপদ রাখা ছাড়াও অ্যাপ্রন এবং পার্কিং বে-তে আসা-যাওয়ারপথে অন্য যানের সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা জরুরি বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। ওই পরিস্থিতিতে অ্যাপ্রন অংশে বিমানে জ্বালানি ভরা,রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, লাগেজ ভর্তি করা-সহ বিভিন্ন কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা প্রয়োজন। বিশেষ পরিস্থিতিতে ওই অংশে যান চলাচল নিষিদ্ধ করাওজরুরি। এ ছাড়াও কুয়াশার সময় উড়ান ছাড়তে দেরি হলে বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বাড়তি আসন,জল এবং আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়।

কুয়াশার পরিস্থিতি অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ করার স্বার্থে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের দিকে নজর রাখা ছাড়াও বিমানবন্দরের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে মসৃণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা নিয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শনিবার।এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল এবং আবহাওয়া দফতরের সমন্বয়ের বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পায়। মহড়ায় যাত্রীদের উড়ানের সময় সংক্রান্ত তথ্য ঠিক মতো জানানো ছাড়াও বিলম্বের ক্ষেত্রে যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টিতে বিমান সংস্থাগুলির দায়িত্ব নিয়েও আলোচনা হয়।যাত্রীরা যাতে কুয়াশার সময়ে দ্রুত বিমানবন্দরের পৌঁছতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে কাছাকাছি রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নানা বিষয়ের খুঁটিনাটি নিয়েও মহড়া চলে ওই দিন। কুয়াশার সময় যাত্রী হয়রানি অনেকাংশে কমিয়ে আনা ছাড়াও বিমানবন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় রাখার বিষয়টি এ দিন মহড়ায় গুরুত্ব পায় বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন