RG Kar Rape and Murder Case

হাজিরায় দেরি! টালার প্রাক্তন ওসিকে নিয়ে শিয়ালদহ কোর্টে অসন্তোষ নির্যাতিতার পরিবারের

আরজি কর-কাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি জামিন পান। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, জামিনের পর থেকে এক বারও তিনি আদালতে হাজিরা দেননি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫১
আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। —ফাইল চিত্র।

আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার যে মামলা শিয়ালদহ আদালতে চলছে, তাতে বুধবার হাজিরা দিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আদালতের নির্দেশে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর হাজিরায় দেরি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্যাতিতার পরিবার।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডে অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি জামিন পান। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, জামিনের পর থেকে এক বারও তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। এ নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তাঁদের আইনজীবী। আদালত তার পর অভিজিৎকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। বুধবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ তিনি আদালতকক্ষে উপস্থিত হননি। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, অভিজিৎ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও হাজিরা দিচ্ছেন না। ফলে তিনি আদালত অবমাননা করছেন। তবে দুপুরের পর আদালতকক্ষে হাজির হন টালা থানার প্রাক্তন ওসি।

অভিজিতের হাজিরা দিতে কেন দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিচারক জানতে চান, তাঁর বাড়ি কোথায়। বাড়ির দূরত্ব জানার পর অভিজিতের হাজিরা নথিভুক্ত করেন তিনি।

আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অভিজিতের মতো তিনিও এই মামলাটিতে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু অন্য মামলার কারণে জেলে আছেন সন্দীপ। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তিনি অভিযুক্ত। শিয়ালদহ আদালতে তাঁকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু জেলে থাকার কারণে তাঁকে হাজির করানো যায়নি।

আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে। তাঁদের ওই অভিযোগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। আদালতে তদন্তকারীরা দাবি করেন, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। কল ডিটেলসে তা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেছেন। পরে এই মামলায় দু’জনেরই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন