Park Street Accused

বাইপাসের ধারে নাইট ক্লাবে শ্লীলতাহানি: পার্ক স্ট্রিটের সেই গণধর্ষণকাণ্ডের দোষী সাব্যস্তকে নোটিস পাঠাতে চলেছে পুলিশ

২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিটের এক পানশালায় সুজ়েট জর্ডন নামে এক যুবতীকে গণধর্ষণে নাম জড়িয়েছিল নাসির-সহ পাঁচ জনের। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ২০১৫ সালে পাঁচ জন দোষী সাব্যস্ত হন। ১০ বছর জেল খাটার পর ছাড়া পান নাসির।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫৫
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

১৩ বছর আগে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এ বার আর এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে নাম জড়াল সেই নাসির খানের! অভিযোগ, রবিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলের নৈশ ক্লাবে এক যুবতীকে যৌন হেনস্থা করেছেন নাসির ও তাঁর এক সঙ্গী। দুই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ‘নির্যাতিতা’।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ অক্টোবর রাতে। ওই দিন স্বামীর সঙ্গে বাইপাসের ধারে একটি হোটেলের নৈশ ক্লাবে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা যুবতী। অভিযোগ, সেখানে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন নাসির ও তাঁর এক সঙ্গী জুনায়েদ খান। এর পরেই বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী তিলজলার বাসিন্দা। অভিযোগে মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই নাসিরই পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ওই যুবতী নাসিরের পূর্বপরিচিত ছিলেন কি না, কী ঘটেছিল সে দিন— সে সব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১৫(২), ১১৭(২), ১২৬(২), ৩(৫), ৩৫১(২) এবং ৭৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ।

২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিটের এক পানশালায় সুজ়েট জর্ডন নামে এক যুবতীকে গণধর্ষণে নাম জড়িয়েছিল নাসির-সহ পাঁচ জনের। রাতে পানশালা থেকে ফেরার সময় বিশ্বাস করে তাঁদের গাড়িতে উঠেছিলেন সুজ়েট। তার পর চলন্ত গাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। শেষে রবীন্দ্র সদনের কাছে সুজ়েটকে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। একে একে গ্রেফতার হন নাসির, রুমান খান এবং সুমিত বজাজ। ২০১৫ সালে পাঁচ জনই দোষী সাব্যস্ত হন। চার বছর গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর ২০১৬ সালে ধরা পড়েন মূল অভিযুক্ত কাদের খান এবং আলি। আট বছর জেল খাটার পর ছাড়া পান সুমিত। তার দু’বছর পর ছাড়া পেয়ে যান নাসিরও। এ বার আর এক মহিলার শ্লীলতাহানিতে ফের নাম জড়াল সেই নাসিরেরই।

(সাধারণত ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করে না আনন্দবাজার ডট কম। কিন্তু পার্ক স্ট্রিটে গণধর্ষিতা সুজ়েট জর্ডন নিজেই জনসমক্ষে এসেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাই তিনি মুখ লুকিয়ে থাকবেন না। সুজ়েট আরও চেয়েছিলেন, তাঁকে ‘পার্ক স্ট্রিট রেপ ভিকটিম’ নয়, নিজের নামেই চিনুক সকলে। তাই আমরা তাঁর নাম প্রকাশ করছি)

Advertisement
আরও পড়ুন