Kolkata Police

কলকাতায় ‘আক্রান্ত’ পুলিশ! মার খেয়ে রক্ত ঝরল সাব-ইনস্পেক্টরের, রুজু হল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা

বুধবার রাতে নেতাজিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী দীপায়ন ঘোষের বাড়ির সামনে প্রায় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল বলে খবর পায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ছুরি এবং অন্য অস্ত্রও ছিল। তারা ওই আইনজীবীকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১৯
পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কলকাতার নেতাজিনগরে গোলমাল থামাতে গিয়ে মার খেলেন এক পুলিশকর্মী। নেতাজিনগরে এক আইনজীবীর বাড়ির সামনে অস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীদের জমায়েতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন স্থানীয় থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। ওই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার রাতে নেতাজিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী দীপায়ন ঘোষের বাড়ির সামনে প্রায় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল বলে খবর পায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ছুরি এবং অন্য অস্ত্রও ছিল। তারা ওই আইনজীবীকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ওই আইনজীবী আবার কলকাতার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যুব সভাপতিও। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই গোলমালের খবর পেয়ে স্থানীয় থানার সাব-ইনস্পেক্টর দীনবন্ধু কেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ।

দুষ্কৃতীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়ে যান আক্রান্ত সাব-ইনস্পেক্টর। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদলের নেতৃত্বে ছিলেন জয়ন্ত ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া কয়েক জন মহিলাও ছিলেন ওই দলে। পুলিশ যখন দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করে, তখন মহিলারা পুলিশকর্মীদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। পরে বাঘাযতীন হাসপাতালে ফের এক বার জয়ন্ত এবং তাঁর সঙ্গীরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা চিকিৎসাকর্মীদেরও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকি জয়ন্ত সার্জিক্যাল কাঁচি দিয়ে এক পুলিশকর্মীর উপরেও হামলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে জয়ন্ত-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন