—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কতটা বাড়তি সময় লাগতে পারে, সমাজমাধ্যমে সেই খবর জানাতে শুরু করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কুয়াশা অথবা বৃষ্টির মতো পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরগামী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বিলম্বের কারণে উড়ান ধরার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সমস্যা লাঘব করতে কয়েক দিন আগে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সেক্টর ফাইভ, বারাসত, হাওড়া, উল্টোডাঙা, চিংড়িঘাটার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বা মোড় থেকে দিনের বিশেষ সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে কতক্ষণ লাগতে পারে, তা জানা যাচ্ছে এই ব্যবস্থায়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে এক্স হ্যান্ডলে ওই তথ্য প্রতি ঘণ্টায় জানানো হচ্ছে। ভোর থেকে ব্যবস্থাটি চালু থাকছে রাত পর্যন্ত। বিমানবন্দরের বিশেষ দল ওই তথ্য সমাজমাধ্যমে শেয়ার করছে বলে সূত্রের খবর।
মাসখানেক আগে কুয়াশার পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে একাধিক প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানেই যাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং উপযুক্ত সমন্বয় রাখার অঙ্গ হিসাবে ওই পদক্ষেপের কথা উঠে আসে।
কুয়াশার মধ্যে উড়ান চলাচল যত দূর সম্ভব স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর মধ্যে বিমানবন্দরের মূল রানওয়ের দু’দিকেই যন্ত্র নির্ভর উড়ান ওঠানামার ব্যবস্থা ছাড়াও কম দৃশ্যমানতায় এপ্রন এরিয়ায় বিমান রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। উড়ানে জ্বালানি, মালপত্র ভরা থেকে অন্য সব প্রক্রিয়া যাতে মসৃণ ভাবে সম্পূর্ণ করা যায়, তার জন্য বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। কোনও কারণে উড়ান ছাড়তে দেরি হলে যাত্রীদের জন্য বসার এবং অপেক্ষার বাড়তি পরিসরও তৈরি করা হয়েছে।
ওই পর্বেই যাত্রীদের সমস্যা কমানোর প্রয়াস হিসেবে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন শহরের উড়ান ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছে বিমান সংস্থাগুলি। কুয়াশার প্রেক্ষিতে যাত্রীদের হয়রানি কমাতে বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় ওই বিষয়টিও উঠে এসেছিল। আবহাওয়া দফতর এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ওই কাজ করা হচ্ছে। গুগল ম্যাপের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে বিমান যাত্রীদের ক্ষেত্রে রাস্তায় সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে ওই তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে। যাতে যাত্রীরা আগেই সতর্ক হতে পারেন।