Calcutta High Court

‘ইচ্ছাকৃত ভাবে গাফিলতি করেছে পুলিশ’! গল্ফগ্রিনে মারধরকাণ্ডের তদন্তভার ডিসিকে দিল হাই কোর্ট

আদালত জানায়, নিম্ন আদালতে ওই মামলার শুনানিতে নজর দেওয়ার জন্য এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। মার্চ মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৪
গল্ফগ্রিন-কাণ্ডে পুলিশের সমালোচনা করল কলকাতা হাই কোর্ট।

গল্ফগ্রিন-কাণ্ডে পুলিশের সমালোচনা করল কলকাতা হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গল্ফগ্রিনে যুবকের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে নজরদারির জন্য ডিসি (ডেপুটি কমিশনার)-কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসি ওই তদন্তে নজর রাখবেন। এক মাসের মধ্যে যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে তাঁকে চার্জশিট জমা দিতে হবে। তিনি প্রয়োজন মনে করলে নতুন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করতে পারবেন। আদালত জানায়, নিম্ন আদালতে ওই মামলার শুনানিতে নজর দেওয়ার জন্য এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। মার্চ মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

গত ডিসেম্বর মাসে গল্ফগ্রিন এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে স্থানীয়দের হাতে এক যুবক আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে ওই যুবক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁর পক্ষে আর স্বাভাবিক কাজ করা সম্ভব নয়। পরিবারের অভিযোগ, নিম্ন আদালতে যুবকের ওই পরিণতির কথা জানায়নি পুলিশ। সেখানে প্রথম হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা করা হয়। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতির কারণে সহজে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তেরা। গত শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন তোলেন যে, পুলিশ ইচ্ছা করেই এমন কাজ করেছেন কি না? তারা কেন দ্বিতীয় হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিম্ন আদালতে জমা দেয়নি? হাই কোর্ট আরও জানায়, মেডিক্যাল নথি কোন অফিসার জমা দিয়েছিলেন, পুলিশকে তা জানাতে হবে।

শুক্রবার শুনানিতে পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় ছ’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা করেছিলেন তদন্তকারী অফিসার। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘তদন্তের এই হাল দেখে মনে হচ্ছে না কলকাতা পুলিশের তদন্ত? থানা কি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়? কারণ, বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিষয়টি নিয়ে বাজে ভাবে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। এটা ভুল করে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। মনে হচ্ছে, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবেই তদন্তে গাফিলতি করেছে। কারণ, পুলিশের কাছে এত নথি থাকার পরেও মাথা কাজ করেনি, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’’ শেষে আদালত বিভাগীয় ডিসিকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেয়।

Advertisement
আরও পড়ুন