—প্রতীকী চিত্র।
মাঝে সময়ের ব্যবধান দু’দশকের একটু বেশি। ফের ভয়াল আগুনে ছাই হয়ে গেল উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় বিরাটি রেল স্টেশনের কাছে যদুবাবুর বাজার। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। সরকারি হিসাব বলছে, আগুনে পুড়েছে ১৮৯টি দোকান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টা থেকে ২টোর মধ্যে বাজারে আগুন লাগে। সেই সময়ে হাওয়া থাকায় মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লড়াই চালান দমকলকর্মীরা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস-সহ একাধিক পুরপ্রতিনিধি।স্থানীয়েরা জানান, এর আগে ২০০১ সালে এই বাজারে আগুন লেগেছিল। তার পরে ফের নতুন করে পুরো বাজার তৈরি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও গোটা বাজার জুড়ে পরিকাঠামোর অভাব স্পষ্ট। নেই পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপণব্যবস্থাও। মঙ্গলবার ওই বাজারে গিয়ে দেখা গেল, চার দিকে ছড়িয়ে রয়েছে পোড়া চাল, আনাজ থেকে শুরু করে মাছ, বইপত্র এবং আরও নানা সামগ্রী। যদুবাবুর বাজারে গত ৫০বছরেরও বেশি সময় ধরে আনাজ এবং আলুর ব্যবসা করছেন বিমল দে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তো সব শেষ হয়ে গেল। কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়লাম। এই ক্ষতিকী ভাবে পূরণ হবে জানি না।’’ ওই বাজারেই একটি বইয়ের দোকান চালান শিবু দাস। তাঁর কথায়, ‘‘মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে এভাবে যে আগুন ছড়িয়ে পড়বে, বুঝতে পারিনি।’’
ওই বাজারেই যাতে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, সেই দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, শুধু ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়াই যথেষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে নতুন ভাবে বাজার তৈরি করা হোক।
মঙ্গলবার পোড়া বাজার পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস মেনে নিয়েছেন, বাম আমলে আগুনের পরে বাজার তৈরির সময়ে পরিকল্পনায় বেশ কিছু ঘাটতি ছিল। তবে, এ বার মডেল বাজারতৈরি করা হবে।