মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ব্যাহত হয় ব্লু লাইনের পরিষেবা। — ফাইল চিত্র।
আবার মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিলেন এক যাত্রী! ময়দান স্টেশনে চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনার জেরে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে (দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম) ব্যাহত হয় পরিষেবা। সে সময় ভাঙাপথে চলে মেট্রো। প্রায় এক ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত ছিল।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিট নাগাদ ময়দান মেট্রো স্টেশনে আপ লাইনে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন এক যাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এই ঘটনার জেরে আপ ও ডাউন— দুই লাইনে পরিষেবা ব্যাহত হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিট নাগাদ পুরোপথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে পুরোপথে মেট্রো চলাচল শুরু হলেও বেশ অনেক ক্ষণ পর পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়।
ময়দান স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার জেরে সেন্ট্রাল থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) পর্যন্ত পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সে সময় মেট্রো পাওয়া চলছিল সেন্ট্রাল থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং টালিগঞ্জ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত।
ব্লু লাইন মেট্রোকে কলকাতার অন্যতম ‘লাইফলাইন’ বলা হয়। বহু মানুষ অফিস বা অন্যত্র যাতায়াতের প্রয়োজনে মেট্রোয় চাপেন। ব্যস্ত সময়ে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তি শিকার যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিসফেরত যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। বিকল্প হিসাবে হয় সড়কপথে নয়তো রেলপথে গন্তব্যে পৌঁছোতে হচ্ছিল তাঁদের।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নেতাজি ভবন স্টেশনে এক যাত্রী চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এর ফলে ব্যাহত হয়েছিল পরিষেবা। রবিবারেও ব্লু লাইনে ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। নেতাজি এবং টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে থমকে গেল পাতালরেল পরিষেবা। লাইনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ঘটে ওই বিভ্রাট। শুধু তা-ই নয়, মেট্রো অ্যাপও বন্ধ হওয়ায় টিকিট কাটতে চাপে পড়েছেন যাত্রীরা। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে অতীতে একাধিক বার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেন বার বার এই লাইনেই আত্মহত্যার চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রবণতা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।