পরিষেবা ব্য়াহত হওয়ায় রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। ছবি: ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়।
আবার মেট্রোর সামনে ঝাঁপ এক যাত্রীর! চলন্ত মেট্রোর সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা নেতাজি ভবন স্টেশনে। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে (দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম) ব্যাহত হয় পরিষেবা। সে সময় ভাঙা পথে চলে মেট্রো। প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুরোপথে পরিষেবা চালু হয়। তবে নেট্রো পরিষেবা পরিষেবা চালুর কথা জানালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট নাগাদ নেতাজি ভবন স্টেশনে আপ লাইনে দমদমগামী মেট্রো ঢুকছিল। তখনই আচমকা গাড়ির সামনে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এই ঘটনার জেরে আপ ও ডাউন— দুই লাইনে পরিষেবা ব্যাহত হয়। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ময়দান থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল। এই ঘটনার জেরে ভাঙাপথে মেট্রো চালানো হয়। দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত পরিষেবা মিলছিল ওই সময়ে। মেট্রোরেলের তরফে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট নাগাদ পুরোপথে পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে।
ব্লু লাইনের পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন অফিসফেরত যাত্রীরা। অনেকেই স্টেশনে গিয়ে জানতে পারেন পরিষেবা বন্ধের কথা। ফলে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছোনোর চেষ্টা করেন যাত্রীরা। ভিড় বাড়ে বাসগুলিতে। ট্র্যাক্সি বা ক্যাব বুক করে অনেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। ময়দান মেট্রো স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী জানান, তাঁর বাড়ি কুঁদঘাট এলাকায়। ধর্মতলা থেকে প্রতিদিন মেট্রো ধরে নেতাজি স্টেশনে নামেন তিনি। তবে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় শুক্রবার ময়দান স্টেশনে নেমে পড়তে হয় তাঁকে। বাসের ভিড় দেখে বাড়ি ফেরা নিয়ে চিন্তায় পড়েন তিনি।
কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে অতীতে একাধিক বার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেন বার বার এই লাইনেই আত্মহত্যার চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রবণতা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কালীঘাট স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের প্রান্তে গার্ডরেল পর্যন্ত বসানো হয়েছে। কিন্তু এ সবে বিশেষ লাভ হয়নি। আবার সেই ব্লু লাইনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যাত্রী।