Police Investigation

স্কুলপড়ুয়াকে অপহরণ, বর্ধমান থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

পুলিশ সূত্রের খবর, কিশোরী বাড়ির কাছেই একটি স্কুলে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে সে বেরিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ফিরে আসেনি। পরিজনেরা স্কুলে যোগাযোগ করলে থানায় খবর যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৯

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। এর পর থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবারের সেই ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে উল্টোডাঙা থানার পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্ধমান থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে কিশোরীকে। অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮ বছরের এক ব্যক্তিকে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ দিনই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কিশোরী বাড়ির কাছেই একটি স্কুলে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে সে বেরিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ফিরে আসেনি। পরিজনেরা স্কুলে যোগাযোগ করলে থানায় খবর যায়। পুলিশ তদন্তে নেমে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা শুরু করে। কিশোরী যে হেতু নাবালিকা, তাই নিখোঁজ মামলার পরিবর্তে অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় মামলা রুজু করতে তৎপর হয় পুলিশ। মেয়েটির কাছে ফোন না থাকায় প্রথমে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতের দিকে কিশোরীর এক আত্মীয়ের কাছে ফোন আসে। কিশোরী যাদের হেফাজতে ছিল, তারাই ফোন করে বলে পুলিশের দাবি। সেই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছয় বর্ধমানে। ফোনটির টাওয়ারের অবস্থান পাওয়া যায় বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকায়।

এর পরেই দ্রুত তদন্তকারী দল গঠন করেন উল্টোডাঙা থানার ওসি। রাতেই কিশোরীর খোঁজে বর্ধমানের উদ্দেশে রওনা দেন তদন্তকারীরা। ভোরে আউশগ্রামে কিশোরীর খোঁজ মেলে। ঘটনাস্থল থেকেই ধরা হয় চন্দন নামের ওই ব্যক্তিকে। দু’জনকেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। চন্দনকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন। অন্য দিকে, কিশোরীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেলের পরে তার শারীরিক পরীক্ষা হয়। কিশোরীকে আপাতত হোমে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কী ভাবে চন্দন এই অপহরণের ফাঁদ পাতল, দেখছে পুলিশ। এই অপহরণের উদ্দেশ্য কি টাকা হাতানো, না কি অন্য কিছু, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত কিনা, দেখা হচ্ছে তা-ও।

কলকাতা পুলিশের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘রাতভর চেষ্টা চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা গিয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে ঘটনায় অন্য কিছু ধারাও যুক্ত করা হতে পারে।’’

আরও পড়ুন