সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
২০১৭ সালে নিউ টাউনে সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে উপাচার্য জন ফেলিক্স রাজকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গড়ে তোলার অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ রক্ষার কাজে অনেক দূর এগোনোর কথা মঙ্গলবার জানালেন ফেলিক্স। তিনি বললেন, “প্রথমে নার্সিং কলেজ, তার পরে ডাক্তারি শিক্ষার কলেজ হবে। এর ফলে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ভিন্ রাজ্যে যাওয়াও কমবে।”
উপাচার্য এ দিন জানান, লন্ডনে হাউস অব লর্ডসের অনুষ্ঠানে গিয়েও সেন্ট জ়েভিয়ার্সের প্রাক্তনীদের কাছে তিনি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস পেয়েছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নতুন পরিকল্পনা রূপায়ণে আরও ১০ একর জমি চেয়েছি। এ বার কেন চেয়েছি, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলব।”
সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ টাউনের শিক্ষাঙ্গনে আগামী বছর থেকে বি টেক শিক্ষাক্রম চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। সেটির প্রবেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা পরীক্ষা নেবে বলে এ দিন উপাচার্য জানিয়েছেন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে রোমে জেসুইটদের সুপিরিয়র জেনারেল আর্তুরো সোসা আসবেন বলেও ফেলিক্স জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সমাবর্তনে কলকাতা, মুম্বইয়ে সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুলের প্রাক্তনী, সাংসদ ও সুলেখক শশী তারুরকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হবে।”
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিস্তার নিয়ে নানা ভাবনার কথা শোনান ফেলিক্স। সাত বছরে ৪০০ থেকে ৪০৩০ জন শিক্ষার্থী পাঠরত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আসন্ন সমাবর্তনে ১০৮৫ জন পড়ুয়া ডিগ্রি পাবেন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন পিএইচ ডি শেষ করেছেন। আরও ১৭৫ জন গবেষণারত। তা ছাড়া, ন্যাক স্বীকৃতির জন্যও বিশ্ববিদ্যালয় এখনই ঝাঁপাবে বলে ফেলিক্স জানান।
সহায়তার জন্য প্রাক্তনীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফেলিক্স বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর প্রসারে ৬০০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে।” আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অচিরেই স্কুল অব ডিজ়াইন গড়ে তোলার কথাও এ দিন জানিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “কর্পোরেট পেশাদারদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এমবিএ কোর্সেও সারা পৃথিবীরশিক্ষার্থীরা শামিল হচ্ছেন। অনলাইনে ক্লাস করে তাঁরা পরীক্ষা দিতে আসতে পারবেন।”