Jadavpur University Student Death

যাদবপুরের ছাত্রীমৃত্যু কী ভাবে? দুর্ঘটনা না নেপথ্যে অন্য কারণ? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কী কী তথ্য পেল পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০২
What was revealed in the initial autopsy report on the death of the Jadavpur student

কী রয়েছে অনামিকা মণ্ডলের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার!

Advertisement

আর কী আছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে? সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীর শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা অনামিকার। তবে তিনি মদ্যপান করে ছিলেন কি না বা শরীরে অন্য কোনও মাদক পদার্থ ছিল কি না, তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা। রাত ১০টা ২০ নাগাদ পুকুরে তাঁকে ভাসতে দেখেন ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা। তার পর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে। সেখানে অনামিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

অনামিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেই সময়। ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় সিসি ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সকলের নজর এড়িয়ে অনামিকা কী ভাবে ওই পুকুরপাড়ে গেলেন এবং পড়ে গেলেন জলে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে তিনটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে যে পুকুর থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার দিকে মুখ করে আদৌ কোনও ক্যামেরা নেই। কী ভাবে ছাত্রী পুকুরে পড়লেন, এখনও তা স্পষ্ট হয়নি। এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কম। তবে বৃহস্পতিবার অত রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলার কথা ছিল না বলেই জানিয়েছেন যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। পাশাপাশি, অনুষ্ঠান চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

অনামিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় সিসি ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সকলের নজর এড়িয়ে অনামিকা কী ভাবে ওই পুকুরপাড়ে গেলেন এবং পড়ে গেলেন জলে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০২৩ সালে মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা তৎপর হয়েছিলেন। বাড়তি অনেক সিসি ক্যামেরা তখন থেকেই রয়েছে ক্যাম্পাসে।

Advertisement
আরও পড়ুন