Bengal Recruitment Case

আর প্রভাবশালী নন পার্থ, জামিনে বাধা কেন? হাই কোর্টে যুক্তি আইনজীবীর, তবে ঝুলেই রইল মামলা

শুক্রবার পার্থ ছাড়াও সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ, অপূর্ব সাহাদের মতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাদের জামিনের মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। পার্থের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল আর প্রভাবশালী নন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৫
নিয়োগ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিয়োগ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো আর প্রভাবশালী নন, তবে কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না? শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে পার্থদের জামিনের মামলায় এমনটাই যুক্তি দিলেন তাঁর আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে তিনি অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া থেকে অনুব্রত মণ্ডল, সম্প্রতি জামিন পাওয়া এমন অনেক নেতার দৃষ্টান্তও দিয়েছেন আদালতে। তবে পার্থদের জামিনের মামলা ঝুলেই রইল। আগামী ৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

শুক্রবার পার্থ ছাড়াও সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ, অপূর্ব সাহাদের মতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাদের জামিনের মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়েছে। পার্থের জামিনের বিরুদ্ধে এত দিন সিবিআইয়ের অন্যতম প্রধান যুক্তি ছিল, তিনি প্রভাবশালী। জামিনে মুক্তি পেয়ে গেলে তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। সাক্ষীদের উপরও প্রভাব খাটাতে পারেন। নষ্ট করতে পারেন তথ্যপ্রমাণ। শুক্রবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের এই যুক্তি উড়িয়ে দেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, পার্থ এখন মন্ত্রী নন। কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাও তাঁর পাশে নেই। তিনি এখন একা। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ‘প্রভাবশালী’ তকমা রয়েছে, তা সঠিক নয়।

এ প্রসঙ্গে অন্য দৃষ্টান্ত টেনে পার্থের আইনজীবী জানান, বিভিন্ন মামলায় কেজরীওয়াল, সিসোদিয়ারাও গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও ‘প্রভাবশালী’ তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখনও প্রভাবশালী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। পার্থ প্রভাবশালী না হওয়ার পরেও কেন তিনি জামিন পাবেন না? প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।

অন্য দিকে, নিয়োগ মামলায় শুক্রবার সিবিআইকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছিল আদালত। তারা তা দিতে পারেনি। বিচারপতি তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামী ৩ অক্টোবর, পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআইকে লিখিত আকারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন