সোমবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
ভাষণের শেষে দিল্লি কাঁপানোর ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি চিৎকার করে ‘জয় বাংলা’ বলার আহ্বান জানান। এমন আওয়াজ তোলার বার্তা দেন, যাতে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়।
অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। বিজেপিকে আমরা ছাব্বিশের পর ওই ক্যাম্পে নিয়ে যাব। বিজেপিকে কোনও জায়গা ছাড়া চলবে না।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’ বেরোবে। এক দিকে ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এক দিকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবহার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছে। দু’টি ই-কে কাজে লাগাচ্ছে। কেউ ভয় পাবেন না।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা বাংলায় কথা বলি। ১০০ বার বলব। গর্ব করে বলব। ২০২৬ সালের পর বিজেপিকে দিয়েও ‘জয় বাংলা’ বলাব। লিখে রাখুন।’’ পদ্মফুল উপড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপিকে প্রথম বাংলাবিরোধী আমরা বলেছি। আমরা জনতার গর্জনের ডাক দিয়েছিলাম। শুধু রাজনৈতিক স্লোগান নয়। সেটাই বিজেপির আসল চরিত্র। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, ময়দানে জিততে না পেরে নির্লজ্জের মতো গরিব মানুষকে মারার পরিকল্পনা করে। টাকা আটকে রাখে। ওদের একটাই পরিচয়, বাংলাবিরোধী।’’
ধর্মতলার পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলে প্রবেশের সময় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। নতজানু হয়ে প্রণাম জানান শহিদদের।
নতজানু হয়ে শহিদ-প্রণাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —নিজস্ব চিত্র।
নির্ধারিত সময়েই ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। মঞ্চে বক্তৃতা করছেন নেতারা।