—প্রতীকী চিত্র।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা গেল, জীবিত ভোটার হয়ে গিয়েছেন ‘মৃত’। অন্য একটি ঘটনায় আবার এক জন স্থায়ী বাসিন্দার নামই তালিকায় নেই। সার্চ করলে দেখা যাচ্ছে, তিনি স্থানান্তরিত কিংবা নিখোঁজ। উত্তর দমদমের নিমতা এবং খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই দু’টি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
উত্তর দমদম পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গণেশ রাও। তাঁর স্ত্রীর নাম জি পলি। তিনি ১১০ নম্বর দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ১২২ নম্বর পার্টের ভোটার। ওই দম্পতি একই সঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম জমা করেছিলেন। কিন্তু প্রকাশিত খসড়া তালিকায় গণেশের নাম থাকলেও পলিকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পলি জানান, তাঁরা ওই এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অফলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে বিএলও-র কাছে জমা দিয়েছিলেন তাঁরা।পলি জানান, খুবই চিন্তায় পড়েছেন তিনি। যে হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে, তার দায় নেবে কে? কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহিলা।
অন্য দিকে, খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন শাহবুদ্দিন বৈদ্য ও তাঁর স্ত্রী আমিনা বেগম। ওই দম্পতিও একসঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছিলেন। অথচ, খসড়া তালিকায় স্বামীর নাম থাকলেও আমিনা বেগমের নাম নেই। সেখানে তাঁকে স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন স্বামী-স্ত্রী।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, আমিনা বেগম ওই এলাকারই দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা। অথচ, তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান, এক জন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তৃণমূল চুপ করে বসে থাকবে না। আন্দোলন হবে।