Modi at North Bengal

জানুয়ারির গোড়াতেই উত্তরবঙ্গে সভা মোদীর

বছর শেষের আগেই দলীয় প্রস্তুতি বুঝে নিতে আগামী ২৯-৩০ ডিসেম্বর কলকাতা সফরে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩২
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

নতুন বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গে জনসভা করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ্য, সেখানে দলের ভিতকে আরও মজবুত করা। তাই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের বছরে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সভাটি উত্তরবঙ্গেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। উত্তরবঙ্গের প্রতি রাজ্যের ‘বঞ্চনা’র ইতিহাসকে মাথায় রেখে এ যাত্রায় সেখানকার জন্য আলাদা ‘সঙ্কল্প পত্র’ (নির্বাচনী ইস্তাহার) তৈরির কথাও ভাবছে গেরুয়া শিবির।

বছর শেষের আগেই দলীয় প্রস্তুতি বুঝে নিতে আগামী ২৯-৩০ ডিসেম্বর কলকাতা সফরে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সূত্রের মতে, দু’দিন ধরে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে শাহ সমীক্ষা করে দেখবেন, দল বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত। বিশেষ করে বিজেপির বুথ স্তরের সাংগঠনিক শক্তি, পরিকল্পনা এবং সামগ্রিক সমন্বয়ের কতটা বৃদ্ধি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন তিনি।

গত লোকসভায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। সেই ক্ষত মেরামত করে উত্তরবঙ্গে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে অতীতের সমস্ত ফলাফল ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মোদীর দল। তাই মোদীকে সামনে রেখেই তারা উত্তরবঙ্গ অভিযানে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা করেছে। সূত্রের মতে, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে একাধিক জনসভার পরিকল্পনা রয়েছে, যার প্রথমটি হতে চলেছে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই।

উত্তরবঙ্গের প্রতি রাজ্য প্রশাসনের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ ঘিরে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘ সময় ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। উত্তরবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে সেখানকার জন্য আলাদা নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরির কথা ভাবছে বিজেপি। সূত্রের খবর, সেটিতে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী ধরনের উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ করবে, তার উপরে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘তৃণমূল কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, তা মানুষ জানেন। তাই বিজেপি কী করতে চায়, সেটাই মানুষের কাছে অনেক বেশি করে তুলে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বিধানসভা-পিছু সঙ্কল্প পত্র। কিন্তু তা বাতিল হয়। চা-শিল্প ও বাংলার শাড়ি শিল্পের উন্নতির বিষয়টিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে বিজেপি। তাই বাংলার তাঁতি সমাজ এবং শাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের সঙ্গে প্রায় দেড় দিন কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে নির্মলার।

আরও পড়ুন