Telangana Factory Explosion

তেলঙ্গানার কারখানা বিস্ফোরণে মৃত্যু মেদিনীপুরের আরও এক শ্রমিকের

ঘটনার দিন রাজীব সকালেই তাঁর ডিউটি থেকে বেরিয়ে ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে বিকট শব্দ শুনে এসেছিলেন ঘটনাস্থলে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ০১:৫৪
তেলঙ্গানার রাসায়নিক কারখানায় চলছে উদ্ধারকাজ।

তেলঙ্গানার রাসায়নিক কারখানায় চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।

ছেলের পর বাবারও মৃত্যু হল তেলঙ্গানার রাসয়নিক কারখানার বিস্ফোরণে। ঘটনার পর থেকে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারাপদ টুডু (৫৫)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রাজীব টুডু।

Advertisement

গত ৩০ জুন তেলঙ্গানার সঙ্গারেড্ডি জেলায় পাশামাইলরম শিল্পতালুকের ওই রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন জনের মৃত্যু হয়। শোকের ছায়া পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার রাজনগর গ্রামে।

ওই বিস্ফোরণে ছেলে শ্যামসুন্দর টুডু এবং প্রতিবেশী অসীম টুডুর মৃত্যু হয়েছিল। হায়দরাবাদে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারাপদ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রাজীব টুডু। তারাপদ সম্পর্কে রাজীবেব কাকা হন।

ঘটনার দিন রাজীব সকালেই তাঁর ডিউটি থেকে বেরিয়ে ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে বিকট শব্দ শুনে এসেছিলেন ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলে খোঁজ করছিলেন অসীম, শ্যামসুন্দর এবং তারাপদের। ঘটনার পর থেকেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাসপাতালে পেয়েছিলেন তারাপদকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বাকি দু’জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

রাজীব খবর পাঠিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার রাজনগর গ্রামে। তার পরেই অসীম এবং শ্যামসুন্দরের বাড়ির লোকেরা পৌঁছন তেলেঙ্গানায়। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিয়েছিলেন তাঁরা। তারাপদও রক্তের নমুনা দিয়েছিলেন তার ছেলে শ্যাম সুন্দরের জন্য। শ্যামসুন্দর এবং অসীমের দেহ শনাক্তের পর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের দু’জনের মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকে তারাপদের চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদেই ছিলেন রাজীব।

রাজীব জানান, হাসপাতালে তারাপদের চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার পরেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ গ্রামে পৌঁছাবেন তাঁরা।

ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “দাসপুরের বিডিও খবর দিয়েছেন যিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁকে গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন পাশে রয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন