— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পারিবারিক গন্ডগোলের জেরে বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত হলেন ওই পরিবারের আরও তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের শ্রীনাথপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে রঞ্জিত পাতরের বাড়িতে গন্ডগোল হয়। অভিযোগ, রাত ৮টা নাগাদ ঝগড়ার সময় বৌদি রাধারানিকে কুড়ুল নিয়ে আঘাত করতে যান যুবক। কুড়ুলের কোপে রক্তাক্ত হন মহিলা। রঞ্জিতকে থামাতে গিয়ে জখম হন ভাইঝি, পুত্রবধূ এবং এক প্রতিবেশী। তাঁরা ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
বিনপুর থানার পুলিশে হাতে গ্রেফতার হন রঞ্জিত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে দিন চারেক আগে ওঝার কাছে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। সে নিয়ে পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। তখন ধারালো কুড়ুল দিয়ে যুবক বৌদির মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রাধারানিকে বাঁচাতে গিয়ে আরও তিন জন আহত হয়েছেন। কাকার কুড়ুলের কোপে গুরুতর জখম মৃতার মেয়ে অঞ্জলি। তা ছাড়া পুত্রবধূ জয়িতা পাতর ও প্রতিবেশী চম্পা শবরেরও চিকিৎসা চলছে।