Shop In Waiting Room

যাত্রী প্রতীক্ষালয় ভাড়ায় নিয়ে জুতোর দোকান! রসিদ দেখিয়ে দোকানদারের দাবি, লিজ় তো দিয়েছে প্রশাসন

১০ বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছিল পিংলার বাড়গোকুলের রাস্তার ধারে। সম্প্রতি সেই ঘরে জুতোর দোকান করেছেন পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লাল্টু হেমব্রম।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১১
Shop In Waiting Room

যাত্রী প্রতীক্ষালয় ঘিরে জুতোর দোকান এবং মালিক। —নিজস্ব চিত্র।

১০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়। কিন্তু যাত্রীরা আর সেখানে অপেক্ষার সুযোগ পান না। কারণ, সেখানে দোকান খুলে বসেছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা! জুতোর দোকানদারের দাবি, ভাড়া দিয়েই ব্যবসা করছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০ বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছিল পিংলার বাড়গোকুলের রাস্তার ধারে। সম্প্রতি সেই ঘরে জুতোর দোকান করেছেন পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লাল্টু হেমব্রম। এ-ও সম্ভব? সরকারি টাকায় তৈরি প্রতীক্ষালয়ে দোকান? প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়েরা। কিন্তু দোকানদারের যুক্তি, তিনি যাত্রী প্রতীক্ষালয় লিজ়ে নিয়ে দোকান খুলেছেন। লাল্টুর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতি আমার কাছে থেকে বছর-চুক্তির জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। তার রসিদও দেওয়া হয়েছে।’’ রসিদ দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে তো কেউ বসত না। তা-ই দোকান করেছি।’’

খড়্গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে লিজ়ে দেওয়ার বিষয়টি। তাদের দাবি, যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ব্যবহার করতেন না মানুষ। রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছিল না। তাই সামান্য অর্থের বিনিময়ে এক স্থানীয় বাসিন্দাকে দোকান করতে দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেউ বসেন না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যাতে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সে জন্য সামান্য টাকায় এক জনকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যে দিন যাত্রীরা আবেদন করবেন, তার সাত দিনের মধ্যে দোকান সরিয়ে দেব। তখন যাত্রীরা প্রতীক্ষালয়টি ব্যবহার করতে পারবেন।’’

যাত্রী প্রতীক্ষালয় ঘিরে বিতর্কে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি জানান, আগে বিষয়টি তাঁর কানে আসেনি। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ এলে পুলিশ দিয়ে দোকান তুলিয়ে দেব।’’ কিন্তু লিজ় তো দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে। বিধায়কের জবাব, ‘‘এই ভাবে প্রতীক্ষালয় ভাড়ায় দেওয়া যায় না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন