— প্রতীকী চিত্র।
ডিসেম্বর মাস জুড়েই পর্যটকদের ভিড় থাকে দিঘায়। সেখানে উৎসবের আমেজকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলতে এ বার আয়োজন করা হচ্ছে ‘দিঘা বিচ ফেস্টিভ্যাল ও বর্ষবরণ উৎসব’। বছরের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘা এবং শঙ্করপুর সৈকতে হবে উদ্যাপন। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) যৌথ উদ্যোগে। সমুদ্রে ঘুরবে প্রমোদতরী। বর্ষবরণের রাতে সেখান থেকেই চলবে বাজির প্রদর্শনী।
দিঘায় এ বার উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বড়দিন থেকেই। হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক শীর্ষেন্দুবিকাশ কুন্ডু জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর থেকেই গোটা দিঘা শহর সেজে উঠবে আলোর রোশনাইয়ে, ঠিক যেমনটা দেখা যায় কলকাতার পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায়। এক দিকে হোটেল ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠান সাজাবেন, অন্য দিকে ডিএসডিএ-এর সৌজন্যে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন রাস্তা, ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত ঝলমলে আলোয় সাজবে।
৩০ ডিসেম্বর ওল্ড দিঘায় ‘দিঘালী’র সামনে সৈকতে এই উৎসবের সূচনা হবে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, দু’দিনের এই উৎসবে বিশিষ্ট শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে এ বারের মূল আকর্ষণ সমুদ্রের বুকে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এ বারই প্রথম দু’টি সুসজ্জিত ‘ক্রুজ’ সমুদ্রে ঘুরে বেড়াবে। তা থেকে আকাশে ছাড়া হবে বাজি। ৩১ ডিসেম্বরের রাত ১১.৫৫ মিনিট থেকে ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে বাজি প্রদর্শনী। শীর্ষেন্দুবিকাশ জানিয়েছেন, অলিম্পিক্সের মাঠে যেমন সবুজ বাজির প্রদর্শনী হয়, এখানেও তা হবে। দু’টি ক্রুজ থেকে পোড়ানো হবে বাজি।
প্রতি বছর বর্ষবরণের সময় দিঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়লে হোটেলগুলির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সমস্যা এড়াতে হোটেল ব্যবসায়ীরা এ বার বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন। শীর্ষেন্দুবিকাশ আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘এ বার দিঘায় বিপুল পরিমাণে নতুন হোটেল তৈরি হয়েছে, ফলে ঘর পাওয়ার সমস্যা হবে না। সেই সঙ্গে প্রতিটি হোটেলের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সংবলিত পুস্তিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’