—প্রতীকী চিত্র।
কল্যাণীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁকে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে সোমবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে হাজির করানোর পথে দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ধৃত বিজেপি নেত্রী। দাবি, একটি পয়সাও কারও থেকে তিনি নেননি। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে দলেরই একটা অংশ।
ধৃত বিজেপি নেত্রী তনু, উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাসিন্দা। অভিযোগ, বহু শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দেখিয়ে নিজেকে প্রভাবশালী হিসাবে প্রমাণ করেন ওই নেত্রী। আর সেই সুযোগে দলেরই চার সদস্যের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা নেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেন। অথচ চাকরি দিতে পারেননি তিনি। তাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। সোমবার কল্যাণী আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা পুলিশের।
প্রসঙ্গত, এর আগে কল্যাণী এমসে চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে। শুধু তিনিই নন, নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে নদিয়ার কল্যাণীর এইমসে নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এফআইআর। এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, চাকদহ বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিংহ-সহ মোট আট জনের। ওই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার নেয় সিআইডি। কল্যাণী থানার পক্ষ থেকে অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র সিআইডিকে হস্তান্তর করার পর তদন্ত শুরু করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়।