Murder in Nadia

বৌমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন কাকাশ্বশুর! সম্পত্তির বিবাদে রক্তারক্তি কাণ্ড নদিয়ায়

ই বাড়ির ঝগড়ার মধ্যে বৌমাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান কাকাশ্বশুর। অস্ত্রের কোপ বসান বধূর গলায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পারিবারিক বিবাদের জেরে বৌমাকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কাকাশ্বশুরের বিরুদ্ধে। ওই নিয়ে শোরগোল নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার গোপীনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। রাতভর তল্লাশির পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম শম্পা বিশ্বাস। বয়স ২৭ বছর। বছর কয়েক আগে উত্তম বিশ্বাস নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, উত্তমের সঙ্গে তাঁর কাকা সুফল বিশ্বাসদের পরিবারের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। শুক্রবার তা চরমে ওঠে। দুই বাড়ির ঝগড়ার মধ্যে বৌমাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান কাকাশ্বশুর। অস্ত্রের কোপ বসান শম্পার গলায়।

দুই পরিবারের চিৎকার-চেঁচামেঁচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে যান ওই বাড়িতে। সকলে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন শম্পাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে পলাশিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। অন্য দিকে, ওই ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না ৫২ বছরের অভিযুক্তের। শনিবার বাড়ির অদূরে একটি জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শম্পার স্বামী উত্তম কাকার ‘কঠিন শাস্তি’ চেয়েছেন। উত্তমের ভাই অনুপ বিশ্বাস বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই অশান্তি হচ্ছিল। দু’-এক কথা হতে হতেই কাকা ঘর থেকে দা নিয়ে এসে বৌদির গলায় বসিয়ে দিয়েছে। আচমকা পুরো ঘটনা ঘটেোছে। বৌদিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর পুলিশেও খবর যায়। পুলিশ এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সবাইকে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। ধৃতকে হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।

Advertisement
আরও পড়ুন