Bhagwangola Murder Case

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ‘পথের কাঁটা’ স্বামীকে খুন! মুর্শিদাবাদে আটক স্ত্রী, ইদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে মৃত্যু কর্তার

কর্মসূত্রে দীর্ঘ দিন ধরেই বাইরে থাকতেন আলতাফ। সম্প্রতি ইদ উলপক্ষে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পরেই প্রৌঢ় জানতে পারেন যে, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে স্ত্রীর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৫ ১৯:৩৮

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ইদের ছুটি বাড়িতে কাটাবেন বলে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু ঘরে ফেরার পর থেকেই অশান্তি স্ত্রীর সঙ্গে। মঙ্গলবার সেই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সুবর্ণমবর্গী ডাকবাংলো এলাকায়। পরিবার এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রেমে বাধা পেয়ে স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী। খুনে সঙ্গ দিয়েছেন প্রেমিক। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। যুবকের খোঁজ চলছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আলতাফ শেখ। বয়স ৫৫ বছর। ভগবানগোলার ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের দেহ মেলে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত দোকানের পাশে, ঝুলন্ত অবস্থায়। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগের তির মৃতের স্ত্রীর দিকে। অভিযোগ, পরকীয়ায় বাধা পেয়ে স্বামীকে খুন করেছেন ওই মহিলা।

স্থানীয়দের বক্তব্য, কর্মসূত্রে দীর্ঘ দিন ধরেই বাইরে থাকতেন আলতাফ। সম্প্রতি ইদ উলপক্ষে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পরেই প্রৌঢ় জানতে পারেন যে, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে স্ত্রীর। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আলতাফ এবং স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের অন্য সদস্যদের দাবি, বার বার দু’জনকে ফোন করা হয়েছে। ফোন বেজে গিয়েছে। কেউ-ই ফোন তোলেননি। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। আর দুপুরেই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত দোকানের পাশ থেকে আলতাফের ঝুলন্ত দেহ মেলে।

পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে কানাপুকুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আলতাফের পরিবারের দাবি, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। আর খুনটি করেছেন আলতাফের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক। তাদের আরও অভিযোগ, খুন করে প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে মনে হয় যে আলতাফ আত্মহত্যা করেছেন।

অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ঘটনার পর দীর্ঘ ক্ষণ নিখোঁজ থাকলেও শেষমেশ আটক করা হয়েছে মৃতের স্ত্রীকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্য দিকে, ওই বধূর ‘প্রেমিক’ এখনও অধরা। তাকে খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন