Police Investigation

দ্বিতীয় বিয়ের পরেও মেলেনি ‘ডিভোর্স’, রাগে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর

আদালত সূত্রে খবর, নদিয়ার ধানতলা থানার কুশবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা নির্মল গত বছর ১ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী সুচরিতা দত্তের উপরে হামলা চালিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঙ্গীত শিল্পী সুচরিতার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ০২:২১
বিচারক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫ ও ১০৩/১ ধারায় অভিযুক্ত নির্মল দত্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

বিচারক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫ ও ১০৩/১ ধারায় অভিযুক্ত নির্মল দত্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। —প্রতীকী চিত্র।

প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের দায়ে অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫ ও ১০৩/১ ধারায় অভিযুক্ত নির্মল দত্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। নির্মলের বিরুদ্ধে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে খুন ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে স্ত্রীয়ের বাবা ও ভাইকে কোপানোর।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, নদিয়ার ধানতলা থানার কুশবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা নির্মল গত বছর ১ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী সুচরিতা দত্তের উপরে হামলা চালিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঙ্গীত শিল্পী সুচরিতার। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বিবাদের জেরে ওই মহিলা নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির কাছেই একটি আলাদা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। গান করেই নিজে সংসার চালাতেন তিনি। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনে দুপুরে সুচরিতার ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্মল। অভিযোগ, সেখানেই তিনি সুচরিতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় নিজের বাবাকে ফোন করে আক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। এর পরে তড়িঘড়ি করে সুচিত্রার বাবা ও ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে জামাইকে বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে নির্মলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ধানতলা থানার পুলিশ এসে সুচরিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এর পরে নির্মলকে আটক করে পুলিশ।

আদালতের রায় ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হওয়া ও রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারি আইনজীবী অপূর্ব ভদ্র। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তকারী আধিকারিক দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন। এগারো মাসের মাথায় সমগ্রপ বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলে রায় ঘোষণা করে আদালত। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির প্রার্থনা করেছিলাম। মাননীয় বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা খুশি।’’ অন্য দিকে, রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন রানাঘাট আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তির আইনজীবী।

Advertisement
আরও পড়ুন