ভোটার তালিকায় তথ্যযাচাই। — ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকায় নতুন করে নাম তুলতে গেলেও বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬ পূরণ করে জমা দিতে হয়। এ বার সেই ফর্মের সঙ্গে আরও একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেটি অনেকটা এনুমারেশন ফর্মের মতোই। সেটিও পূরণ করে ফর্ম ৬-এর সঙ্গে জমা দিতে হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। তার পর থেকে ভোটার তালিকায় নতুন করে নাম তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাঁরা নতুন ভোটার হবেন বা যাঁদের নাম আগে ভোটার তালিকায় ছিল, এখন বাদ পড়ে গিয়েছে— তাঁরা ফর্ম ৬-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। আগে নতুন করে নাম তোলার জন্য সংশ্লিষ্টের জন্মতারিখের প্রমাণ রয়েছে, এমন একটি নথি দিতে হত। তার সঙ্গে বাবা-মায়ের (অভিভাবকের) ভোটার কার্ডের তথ্য দিতে হত।
এ বার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। বদলেছে নিয়মও। ফর্ম ৬-এর সঙ্গে পৃথক একটি ফর্মও পূরণ করতে হবে নতুন করে তালিকায় নাম তুলতে চাওয়া ভোটারদের। ওই ভোটারের ২০০২ সালের তালিকায় নাম থাকলে, সেই তথ্য জানাতে হবে কমিশনকে। অন্যথায়, তাঁর বাবা, মা, ঠাকুরদা, ঠাকুরমায়ের মধ্যে কোনও এক জনের ২০০২ সালের ভোটার তালিকার তথ্য জানাতে হবে। এনুমারেশন ফর্মে যে ভাবে তথ্য দিতে হয়েছিল, সেই ভাবেই তথ্য দিতে হবে এ ক্ষেত্রেও। এনুমারেশন ফর্মের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটারের আধার নম্বর (ঐচ্ছিক) উল্লেখ করার জায়গা ছিল। এই ফর্মে অবশ্য সেই অংশটি থাকছে না।
এনুমারেশন ফর্মের মতো এই ফর্মেও তিনটি পংক্তি থাকবে। একটি উপরে। দু’টি নীচে। উপরের পংক্তিতে যিনি ভোটার তালিকায় নতুন নাম তুলতে চাইছেন, তাঁর যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এ ছাড়া নীচে আরও দু’টি পংক্তি থাকছে এনুমারেশন ফর্মের মতো। যদি আবেদনকারীর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকে, তাঁর জন্য একটি পংক্তি থাকছে। অপর পংক্তিটি থাকছে আবেদনকারীর যে আত্মীয়ের নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে, তাঁর তথ্য দেওয়ার জন্য। এই ফর্মের ক্ষেত্রেও বুথস্তরের আধিকারিক (বিএলও)-র সই থাকবে।