SIR

আবেদনের তিন বছর পরেও ভারতের নাগরিকত্ব জোটেনি স্ত্রীর, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের

কোচবিহার-২ ব্লকের পুন্ডিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের নেত্রকোনার অপ্রিতারানি চক্রবর্তীকে। বিয়ের পরে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কোচবিহারে আসেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:১৫
স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে চঞ্চলকান্তি রায়।

স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে চঞ্চলকান্তি রায়। —নিজস্ব চিত্র।

ও পার বাংলার পাত্রীর সঙ্গে এ পার বাংলার পাত্রের বিয়ে হয়েছে ১১ বছর। ২০২২ সালে ভারতের নাগরিক হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন স্ত্রী। তবে এখনও পর্যন্ত জোটেনি নাগরিকত্ব। স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিশাহারা কোচবিহারের বাসিন্দা চঞ্চলকান্তি রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ নেই।’’ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

কোচবিহার-২ ব্লকের পুন্ডিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের নেত্রকোনার অপ্রিতারানি চক্রবর্তীকে। বিয়ের পরে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কোচবিহারে আসেন। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতের নাগরিকত্ব পাননি স্ত্রী। চঞ্চল জানান, ভারতীয় হতে চেয়ে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাঁর স্ত্রী প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজ দাখিল করেছেন। অভিযোগ, ২০২২ সাল থেকে কোচবিহারের জেলাশাসকের দফতরেই পড়ে আছে সেই ফাইল। বার বার জেলাশাসকের দফতরে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, পূর্বতন জেলাশাসক তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। বর্তমান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ)-এর সঙ্গে দেখা করার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।

চঞ্চল জানান, তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মা এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পায়নি বলে সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।

শুক্রবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়ে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানান তিনি। তাঁর দাবি, আইনবিরোধী কোনও কাজ করতে তিনি নারাজ। তিনি চান, সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ভারতের নাগরিকত্ব পান স্ত্রী। তা না-হলে আত্মহত্যা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না বলে জানান চঞ্চল।

এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। না পাওয়া উদ্বেগের বিষয়। কেন পাচ্ছেন না তা জানতে আমরা খোঁজ খবর করছি।’’ তাঁর আরও দাবি, জেলাশাসক চাইলে অপ্রিতা নাগরিকত্ব পাওয়া অনেক সহজ হত।

Advertisement
আরও পড়ুন