Gold Merchant Murder Case

‘আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছেন সজল’! দত্তাবাদের স্বর্ণকার খুনে তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাঁর গাড়িচালকের বাবা

মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার থেকে বিবেকানন্দ ওরফে সোনাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তিনি কী ভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা স্পষ্ট করেননি তদন্তকারীরা। ধৃতের বাবার দাবি, তাঁর পুত্র নির্দোষ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১৬
Father of driver speaks out against TMC leader arrested in gold merchant\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s death case

সজল সরকারের ধৃত গাড়িচালকের বাবা পবিত্র সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় তাঁর পুত্রকে ফাঁসিয়েছেন ধৃত তৃণমূল নেতা সজল সরকার! এমনই দাবি ওই খুনের ঘটনায় ধৃত বিবেকানন্দ সরকারের বাবার। মঙ্গলবার স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিবেকানন্দকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছিলেন সজলেরই গাড়িচালক। পুত্রের গ্রেফতারির পরেই ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পবিত্র সরকার। তাঁর দাবি, বিবেকানন্দ নির্দোষ। ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার থেকে বিবেকানন্দ ওরফে সোনাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তিনি কী ভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা স্পষ্ট করেননি তদন্তকারীরা। পবিত্রের দাবি, তাঁর পুত্র নির্দোষ। চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন সজল। পবিত্রের কথায়, ‘‘আমার ছেলে গাড়ি চালায়। এক এক সময় এক জনের। তবে গত চার মাস ধরে সজলের গাড়িও চালাচ্ছে সে।’’ পবিত্রের দাবি, দিন কয়েক আগে বিবেকানন্দের খোঁজে বাড়িতে এসেছিল পুলিশ। তাঁর ছেলেকে না-পেয়ে তাঁকেই তুলে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে আড়াই দিন পর ছাড়ে। তবে মঙ্গলবার আবার পুলিশ এসে তাঁর পুত্রকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জানানো হয় গ্রেফতার করা হয়েছে।

মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম স্বপন কামিল্যা। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্টঅফিস এলাকার দিলমাটিয়া গ্রামে। তবে থাকতেন দত্তাবাদে। পরিবারের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্বপনকে। পরে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়ে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, যাত্রাগাছি বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তির দেহ মিলেছে। স্বপনের ছবি দেখে সেই দেহ শনাক্ত করা হয়।

স্বপনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের নাম জড়িয়েছে। যদিও তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনও আলোকপাত করেনি। সেই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজু ঢালি, তুফান থাপা এবং সজলকে। সজল তৃণমূলের কোচবিহার-২ ব্লকের সভাপতি।

Advertisement
আরও পড়ুন