Gorkhaland

চাঁদা তুলে সেতু, নাম ‘গোর্খাল্যান্ড’

অজয়ের দাবি, ‘‘সরকারি টাকায় নয়, মানুষের অর্থে সেতু তৈরি হয়েছে। এটা জনগণের সেতু। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এখানকার মানুষের স্বপ্ন গোর্খাল্যান্ড। জিটিএ বানায়নি। মানুষ চেয়েছে, তাই এর নাম গোর্খাল্যান্ড।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৪
টুংসুং চা বাগান এলাকায় তৈরি সেই সেতু।

টুংসুং চা বাগান এলাকায় তৈরি সেই সেতু। — নিজস্ব চিত্র।

সরকারি টাকায় নয়, বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তৈরি হল সেতু। রবিবার বিজনবাড়ি ব্লকের জোড়বাংলোয় টুংসুং চা বাগানের কাছে টুংসুং খোলা নদীর উপরে ওই সেতুর উদ্বোধন করেন ‘ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্ট’-এর প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। সেখানে সেতুর নাম বড় করে লেখা হয়েছে ‘গোর্খাল্যান্ড’। সরকারি বিধি না মেনে এ ভাবে সেতু তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)। অবৈধ ভাবে সরকারি জায়গায় সেতু তৈরি নিয়ে মামলাও হয়েছে বলে জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অজয়ের দাবি, ‘‘সরকারি টাকায় নয়, মানুষের অর্থে সেতু তৈরি হয়েছে। এটা জনগণের সেতু। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এখানকার মানুষের স্বপ্ন গোর্খাল্যান্ড। জিটিএ বানায়নি। মানুষ চেয়েছে, তাই এর নাম গোর্খাল্যান্ড। মানুষের কষ্ট, শ্রম রয়েছে এই সেতু তৈরিতে। সরকার সাহায্য না করে বাধা দিয়েছে।’’ এর আগেও তাদের তরফে বালাবাসে সেতু তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। সেই সেতু এই বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। সে কারণে ফের এ ধরনের সেতু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জিটিএ-র মুখ্য সংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘বেসরকারি উদ্যোগে সেতু তৈরি হতেই পারে। কিন্তু তার নিয়ম রয়েছে। সরকারের সম্মতি দরকার। তা নেওয়া হয়নি। অবৈধ নির্মাণকাজ হয়েছে। মানুষ যাতায়াত করলে, এর সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় জড়িত।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মানুষকে ঠিক পথ দেখানো দরকার। তা না করে ভুল পথ দেখালে তো তিনি বড় নেতা হতে পারবেন না। আর এক নেতা কয়েক বছর আগে জিএল নম্বর (গোর্খাল্যান্ড নম্বর) চালু করে অনেক মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন।’’ জনশক্তি ফ্রন্টের অভিযোগ, ২০২৩ সালে বিপর্যয়ে সেতুটি নষ্ট হয়েছে। তা এখনও সরকারি ভাবে করা হয়নি। তাই মানুষ উদ্যোগী হয়ে করেছেন।

আরও পড়ুন