Siliguri Murder Case

দ্বিতীয় স্ত্রীর চোখ উপড়ে খুন! গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা, আঙুল প্রথম স্ত্রীর দিকেও

অভিযুক্তের দুটো বিয়ে। রেখা গুপ্ত নামে এক মহিলাকে বিয়ের কিছু দিন পরে রিতা শাহ নামে আর এক মহিলাকে বিয়ে করেন রাজেশ গুপ্ত সোনি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে রাখতেন অন্যত্র।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ২০:০১
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্বামীকে খুনে সাহায্য করেছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের টুম্বাজোতে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শাসকদলের নেতা বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা চরমে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম রিতা শাহ। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রাজেশ গুপ্ত সোনির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রিতার চোখ উপড়ে নিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রাজেশের দুটো বিয়ে। রেখা গুপ্ত নামে এক মহিলাকে বিয়ের কিছু দিন পরে রিতা নামে আর এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে রাখতেন অন্যত্র। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই সন্তান। সম্প্রতি দুই স্ত্রীয়ের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। সকালে রাজেশকে বেশ কয়েক বার ফোন করেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। কিন্তু ফোন করার পরেও স্বামী তাঁর কাছে না ফেরায় রেখার বাড়িতে উপস্থিত হন রিতা। সেখানে স্বামীকে দেখে চিৎকার-চেঁচামেছি শুরু করেন। শুরু হয় স্বামী এবং দুই স্ত্রীর অশান্তি। অভিযোগ, সেই সময়ে রাজেশ এবং রেখা রিতার উপর হামলা করেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান রাজেশ।

তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয়েরা ছুটে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রিতাকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত রাজেশ। মঙ্গলবারই ধৃতকে হাজির করানো হয় শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাটিগাড়া-২ ব্লকের তৃণমূলের কিসান ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের অঞ্চল সভাপতির পদে রয়েছেন রাজেশ। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। স্বভাবতই ওই খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘জেলার কিসান ইউনিয়নের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হবে। তবে এমন ঘটনায় কাউকেই রেয়াত নয়। পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’ মৃতার মা তারা শাহের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন জামাতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। আমি রাজেশের ফাঁসি চাই। খুনের সঙ্গে ওর প্রথম স্ত্রী-ও জড়িত। পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করুক।’’

Advertisement
আরও পড়ুন