Cooch Behar TMC Leader Expelled

নিউ টাউনে স্বর্ণকার খুনে ‘জড়িত’ তৃণমূলনেতাকে বহিষ্কার করল দল, দলবিরোধী কাজে জড়িয়েছিলেন আগেই

সম্প্রতি স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় বিধাননগর থানার পুলিশ সজল সরকারকে গ্রেফতার করেছে। এই অবস্থায় রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে সজলকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বহিষ্কার করল তৃণমূল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৪
Cooch Behar TMC Leader

কোচবিহারের তৃণমূলনেতা ছিলেন সজল সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

নিউ টাউনে স্বর্ণকার খুনে ধৃত কোচবিহারের তৃণমূলনেতা সজল সরকারকে বহিষ্কার করল তাঁর দল। শনিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যালয় থেকে এই ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। সজল ছিলেন কোচবিহার-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। ওই পদে বসানো হল তৃণমূলনেতা শুভঙ্কর দে-কে।

Advertisement

স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার খুনে নাম জড়ানোর আগেও দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল সজলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে শো কজ় করা হয়েছিল। কিন্তু চিঠির জবাব দেননি তিনি। অভিজিৎ বলেন, ‘‘গত ১১ অক্টোবর দলের পক্ষ থেকে কোচবিহার-২ ব্লকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি হিসাবে সজলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই বেশ কিছু দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে দলের পক্ষ থেকে শো কজ় করা হয়। তিনি তার জবাব দেননি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি এ-ও জানান, সম্প্রতি স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় বিধাননগর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এই অবস্থায় রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে সজলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্টঅফিস এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণকার স্বপন থাকতেন সল্টলেকের কাছে দত্তাবাদ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়ে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, যাত্রাগাছি বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁর দেহ মিলেছে। এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমেই রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা লপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের পরিচিত বলে জানা যায়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই মামলার তদন্তে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের দেখা গিয়েছে। তার পরে বিবেকানন্দ সরকার ওরফে সোনাই নামে এক জনের সঙ্গে পাকড়াও হন কোচবিহারের ওই তৃণমূল নেতা।

পুলিশ সূত্রের খবর, স্বর্ণকার খুনে তিন অভিযুক্ত রাজু, তুফান এবং সজলের মোবাইলের কল লিস্ট এবং আনুষঙ্গিক কিছু তথ্য হাতে এসেছে। তাঁদের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে ঘটনার সময় এবং ঘটনার আগে এবং পরে তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কেও ধারণা করা গিয়েছে। তবে স্বর্ণকারকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় নাম জড়ালেও রাজগঞ্জের বিডিওর ভূমিকা সম্পর্কে পুলিশ এখনও আলোকপাত করেনি।

Advertisement
আরও পড়ুন