TMC

শতাব্দীর সামনেই হাতাহাতি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর, দলীয় নেতাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় সাংসদের গাড়িতে জুতো!

সিউড়ি-২ ব্লকের কোমা গ্রামপঞ্চায়েতের গাংটে গ্রামে এসআইআর সংক্রান্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা চলাকালীনই প্রকাশ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:০০
Two TMC team clash ahead of Shatabdi Roy verdict

বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই হাতাহাতিতে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। —নিজস্ব চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ— তৃণমূলের দুই নেতার দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে আবার উত্তপ্ত বীরভূম। তা-ও আবার বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। এক তৃণমূলকর্মীকে বিক্ষুব্ধদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজের গাড়িতে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সাংসদ। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে জুতো!

Advertisement

জানা গিয়েছে, সিউড়ি-২ ব্লকের কোমা গ্রামপঞ্চায়েতের গাংটে গ্রামে এসআইআর সংক্রান্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী। অভিযোগ, সভা চলাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় দলের অন্য এক গোষ্ঠী।

অশান্তির মধ্যেই বলরামকে নিজের গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শতাব্দী। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁর গাড়ি আটকান কয়েক জন। গাড়িতে জুতো দিয়ে বাড়ি মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, সিউড়ি-২ ব্লকে দীর্ঘ দিন ধরেই অনুব্রত এবং কাজলের দুই ঘনিষ্ঠদের গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ লেগেই ছিল। ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম, কাজলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর বলরাম অনুব্রতের কাছের লোক। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সভা চলাকালীন নুরুলের অনুগামীরাই চড়াও হন বলরামের উপর। শতাব্দী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শতাব্দী। তিনি জানান, বিরোধীরা পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছে। তাঁর কথায়, "আমার গাড়ির সামনে যে মহিলা শুয়ে পড়েছিলেন, তাঁকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। বিজেপির বিএলএ-ও ছিল। সকলে মিলে অশান্তির সৃষ্টি করেন। এটা হওয়ারই ছিল, হয়েছে।"

Advertisement
আরও পড়ুন