Fraudulence

গ্রামবাসী দেড় হাজার, ৩ মাসে জন্ম ২৭ হাজার!

তদন্তে করে দেখা যায়, ভূত রয়েছে সর্ষের মধ্যেই। জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ ব্যবস্থার (সিআরএস) ভিতরেই জালিয়াতি হয়েছে।

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৩

মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে মাত্র তিন মাসে ২৭ হাজারেরও বেশি শিশুর জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট করে বললে সংখ্যাটা ২৭৩৯৭। অথচ ওই গ্রামের মোট জনসংখ্যা মাত্র ১৫০০। এই অস্বাভাবিক তথ্য সামনে আসতেই একটি বৃহৎসাইবার জালিয়াতির ইঙ্গিত মিলছে, যাকে ওই রাজ্যের অন্যতম বড় জন্ম শংসাপত্র কেলেঙ্কারি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেরিতে জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ যাচাইয়ের বিশেষ অভিযানে যবতমাল জেলার আরনি তহসিলের শেন্দুরুসানি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। কর্তৃপক্ষ দ্রুতই বুঝতে পারেন যে, জন্মের সংখ্যার সঙ্গে গ্রামের প্রকৃত জনসংখ্যার কোনও সামঞ্জস্য নেই। তদন্তে করে দেখা যায়, ভূত রয়েছে সর্ষের মধ্যেই। জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ ব্যবস্থার (সিআরএস) ভিতরেই জালিয়াতি হয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিআরএস লগইন আইডি মুম্বইয়ের সঙ্গে যোগ করা ছিল। একটি সুসংগঠিত সাইবার অপরাধ চক্রের হাত ছাড়া এমনটা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক যবতমাল সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক মন্দর পাতকি পঞ্চায়েত বিভাগের উপ-মুখ্য নির্বাহী আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। শেন্দুরুসানি গ্রামে সরেজমিনে তদন্তের পর ওই কমিটি জানায়, নথিভুক্ত ২৭৩৯৭টি জন্ম এবং ৭টি মৃত্যুর রেকর্ডই গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতার বাইরে। কর্তৃপক্ষ এখন খতিয়ে দেখছেন, কী ভাবে সিআরএস আইডিতে গোলমাল করা হল এবং এই ভুয়ো নথিভুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিচয় জালিয়াতি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া বা অন্য কোনও বেআইনি কাজ হয়েছে কি না। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন-এর বিভিন্ন ধারায় এই ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার গ্রামটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা কিরীট সোমাইয়া। তাঁর দাবি, নথিভুক্ত নামগুলির ৯৯ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশের বাসিন্দাদের। সোমাইয়া বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীসের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এই সব জন্ম নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।’’

সংবাদ সংস্থা

আরও পড়ুন