Bhabanipur Assembly Constituency

মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে প্রস্তুতি কতদূর? জানতে ভবানীপুরের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ‘চিন্তন’ বৈঠক করবে সঙ্ঘ

ভবানীপুর বিজেপি নেতৃত্ব কী ভাবে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এক বৈঠক ডেকেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) পশ্চিমবঙ্গের নেতারা। আগামী মঙ্গলবার ভবানীপুরের এক প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে বৈঠক করতে আসছেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১২:২৪
RSS will do a meeting with local leaders to find out how the BJP\\\\\\\'s poll preparations are in CM Mamata Banerjee\\\\\\\'s assembly constituency

ভবানীপুরের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ‘চিন্তন’ বৈঠক করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিধানসভা ভোটের আর এক বছরও বাকি নেই। শাসক তৃণমূল যেমন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের কার্যত ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে, তেমনই প্রধান বিরোধীদল বিজেপি-ও ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজেপি নেতৃত্ব কী ভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছন, তা বিস্তারিত জানতে এক বৈঠক ডেকেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) পশ্চিমবঙ্গের নেতারা। আগামী মঙ্গলবার ভবানীপুরের এক প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ‘চিন্তন’ বৈঠক করতে আসছেন তাঁরা।

Advertisement

ভবানীপুর-২ মণ্ডলের দফতর ওই নেতার বাড়িতেই। সেখানেই ওই বৈঠক হওয়ার কথা। ঘটনাচক্রে, ওই বাড়িটি আবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেই। যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রের খবর, ভবানীপুর বিধানসভার তিনটি মণ্ডলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ওই বৈঠকে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার পরেই ভবানীপুরের বিজেপি নেতারা বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ওই বৈঠকে ভবানীপুরের তিনটি মণ্ডল কী ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে, তা বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। তিনটি মণ্ডলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠকে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলা হয়েছে।

তবে আরও একটি বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। ভবানীপুরের এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রকে মিনি ভারতবর্ষ বলে ভুল হবে না। এখানে যেমন বাঙালি ভোটার রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন গুজরাতি, পঞ্জাবি, সিন্ধি, মারোয়াড়ি এবং ওড়িয়া ভোটারেরাও। ২৪ শতাংশের মতো মুসলিম ভোটও আছে। সঙ্ঘ নিচুতলায় নেমে কাজ করার পক্ষপাতী। তাই ওই দিনের বৈঠকে জাতিগত সমীকরণ নিয়েও আলোচনা হবে। যাতে কয়েক মাসের মধ্যেই ভবানীপুরের সামাজিক সমীকরণ বিজেপি-র পক্ষে আনা যায়।’’

প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই ওই বিধানসভা কেন্দ্রের সামাজিক সমীকরণ নিয়ে একটি সমীক্ষা করিয়েছেন তিনি। এ বার ভবানীপুর নিয়ে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে সঙ্ঘও। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি-র বিজেপির স্থানীয় কোনও নেতা। ভবানীপুর বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধানসভার আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ড মুখ্যমন্ত্রীকে জিততে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। সেটি হল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। ২০১১ সালের উপনির্বাচন থেকেই সেই ধারা চলছে। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিলে বাকি সাতটি ওয়ার্ডে বিজেপির ভাল ভোট রয়েছে। সেই ভোট ধরে রেখে তা আরও বাড়ানোই পদ্মশিবিরের লক্ষ্য।

Advertisement
আরও পড়ুন