SSC Recruitment

নিয়োগপরীক্ষায় বসেছিলেন ‘দাগি’ চাকরিপ্রার্থীরাও! নথি যাচাই করে ২৬৯ জনকে চিহ্নিত করল কমিশন

শুক্রবার এসএসসির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টা জানানো হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। সেই পর্বে কমিশন দ্বারা চিহ্নিত ‘অযোগ্যরা’ পরীক্ষায় বসেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:১২
SSC identifies several tainted job seekers

একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় অনেক ‘অযোগ্যে’র নাম রয়েছে পরীক্ষার্থী হিসাবে। — ফাইল চিত্র।

এসএসসি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, এক জন ‘দাগি’ (টেন্টেড) চাকরিপ্রার্থীও পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। কিন্তু একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় অনেক ‘অযোগ্যে’র নাম রয়েছে পরীক্ষার্থী হিসাবে। এ বার তেমনই ২৬৯ জনকে চিহ্নিত করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, নথি যাচাইয়ের সময়ই ধরা পড়ে ‘দাগি’ বা ‘অযোগ্যদের’ নাম।

Advertisement

শুক্রবার এসএসসির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টা জানানো হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। সেই পর্বে কমিশন দ্বারা চিহ্নিত ‘অযোগ্যরা’ পরীক্ষায় বসেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের খুঁজে বার করে তালিকা বাদ দিচ্ছে কমিশন। তারা আরও জানিয়েছে, শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্মীও রয়েছেন যাঁরা ‘দাগি’ বলে চিহ্নিত, অথচ পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁরা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে নথি যাচাইয়ের আবেদন করেন। এমন চাকরিপ্রার্থীদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এসএসসি এ-ও জানিয়েছে, এর পরেও যদি কারও মনে হয় তালিকায় আরও চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়ে গিয়েছে তবে তা কমিশনকে জানানো হোক। কমিশন যাচাই করে সেই সব নামও বাদ দেবে।

২০১৬ সালের সমগ্র প্যানেল দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে একধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বলা হয়েছিল, যাঁরা ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা কোনও ভাবেই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন না। তাঁদের ফেরত দিতে হবে বেতনও। সেই অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে কমিশন। পরীক্ষার পর যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট ৩৫টি বিষয় রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৩১টি বিষয়ের চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই শেষ হয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজির ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও চলছে। কমিশন সূত্রের খবর, এখন‌ও বেশ কিছু বিষয়ের নথি যাচাই বাকি আছে। সেখানে আর‌ও ‘দাগি’ চাকরিপ্রার্থী চিহ্নিত হতে পারে। ফলে তালিকা থেকে বাদ যাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের নামের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নথি যাচাইয়ের কাজ।

Advertisement
আরও পড়ুন