—প্রতীকী চিত্র।
'উন্নয়নের পাঁচালি' শোনাতে এ বার বিধানসভাভিত্তিক সমন্বয়ক (কোঅর্ডিনেটর) নিয়োগ করল তৃণমূল। রাজ্যের সিংহভাগ বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যই এই সমন্বয়ক নিয়োগ করা হয়েছে। সমন্বয়ক হিসাবে ক্ষেত্রে কোথাও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীদের, আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে বিধায়কেরাও সেই দায়িত্বে নেই। সমন্বয়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক পদাধিকারীদের। সমন্বয়ক নিয়োগের তালিকায় সার্বিক ভাবে ভারসাম্য রাখার প্রয়াস দেখা গিয়েছে।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নীলবাড়ির সেই লড়াইকে সামনে রেখে সম্প্রতি ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। গত দেড় দশকের তৃণমূল জমানায় রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তারই খতিয়ান এটি। এখন দলের লক্ষ্য ভোটের আগে সেই পাঁচালি রাজ্যের সর্বস্তরের ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই এ বার বিধানসভাভিত্তিক সমন্বয়ক নিযুক্ত করল তৃণমূল। গত শুক্রবারই দলীয় নেতাদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক সারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ সংক্রান্ত বিষয়ে নেতাদের প্রয়োজনীয় বার্তা দেন তিনি। জানিয়ে দেন, উন্নয়নের এই খতিয়ান সমাজের প্রভাবশালীদের কাছে এবং বুথস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, সেই দায়িত্ব পালনের জন্যই এ বার বিধানসভাভিত্তিক সমন্বয়ক নিয়োগ করল তৃণমূল।
এই সমন্বয়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিক ভাবে একটি ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যেমন হাওড়া সদর এলাকায় সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিকে। হুগলি জেলায় এক বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। তিনিও রাজ্যের মন্ত্রী। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মূলত সাংগঠনিক নেতাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোথাও সেই দায়িত্ব পেয়েছেন সাংগঠনিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা, আবার কোথাও দায়িত্ব পেয়েছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারাও। যেমন, কোচবিহারের এক বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতে। সেই রবীন্দ্রনাথও দায়িত্ব পেয়েছেন সমন্বয়ক হিসাবে।