অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বিজেপি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান দেয়, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই স্বনির্ভর বাংলার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করেছেন। বুধবার দিল্লিতে সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা দেখে বিজেপির শিক্ষা নেওয়া উচিত।’’
বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের কাজ শেষে মঙ্গলবার পশ্চিমঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম বাদ গেলেও অনুপ্রবেশের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন অভিষেক। বিষয়টি কমিশন এবং বিজেপি-কে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিজেপির যে সমস্ত নেতারা বাংলাকে অসম্মান করেছেন, তাঁদের ক্যামেরার সামনে এসে কান ধরে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
পাশাপাশি, এসআইআর-পর্বে কয়েক জন বিএলও-র মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দুষে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ দাবি করেন, কী ভাবে ফর্ম আপলোড করতে হবে, কী ভাবে অ্যাপ পরিচালনা করতে হবে, সেই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বিএলও-দের দেওয়া হয়নি! গত ১০ বছরের বিজেপি শাসনে বাংলাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলেও অভিষেক বুধবার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তা সত্ত্বেও মাত্র চার দিন আগে, আমাদের রাজ্য নিজস্ব তহবিল থেকে ২০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ৮০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে। যদিও কেন্দ্রের ৬০ শতাংশ ব্যয় বহন করার কথা। কিন্তু তারা কিছুই দেয়নি।’’
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অভিষেক বলেন, ‘‘এখন বাংলায় কংগ্রেসের এমন কিছু নেই যা আমাদের সহায়তা করতে পারে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের দু’টি আসন ছিল। আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফলাফল সকলে জানেন। দু’টি আসন থেকে কমে একটি হয়ে গিয়েছে।’’ নীলবাড়ির লড়াইয়ে সমঝোতা হবে কী না তা সম্পূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল বলে জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘তৃণমূলের জয়ের জন্য কংগ্রেসের প্রয়োজন নেই। আমরা ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে নিজেরাই লড়াই করেছি এবং জিতেছি। প্রতিটি নির্বাচনে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। আমরা কারও উপর নির্ভর করি না।’’