Birbhum TMC

কাজল-কেষ্ট কলহকাণ্ডে কুলুপ আঁটুন মুখে! তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ বীরভূমের কোর কমিটির সব সদস্যকে

বীরভূম জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কোর কমিটি গঠন করা হয়। কেষ্টর জেলমুক্তির পর ফের দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৮:০০
TMC ledership orders Birbhum core committee to keep mum to tackle Anubrata Mandal and Kajal Sheikh clash

(বাঁ দিকে) অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

অনুব্রত-কাজল দ্বন্দ্বের বিবাদ দমাতে উদ্যোগী তৃণমূল। বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের দলের নির্দেশ, বৈঠকের পর কমিটির কোনও সদস্য যেন সংবাদমাধ্যম বা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করেন। বীরভূম তথা রাজ্য রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের ‘সুসম্পর্ক’ সর্বজনবিদিত। সংঘাত থামাতে এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বীরভূম জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, কোর কমিটির সকল সদস্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কোর কমিটি গঠন করা হয়। কেষ্টর জেলমুক্তির পর ফের দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেয়। গত মাসে তৃণমূলের তরফে প্রায় সব ক’টি জেলার সংগঠনে রদবদল করা হয়। তখন বীরভূমে সভাপতি পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে অনুব্রতকে কোর কমিটিতে স্থান দেন শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই জেলা সংগঠনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোর কমিটির বৈঠক ডেকে। কোনও নেতা একক ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

কোর কমিটির বৈঠক ঘিরে বার বার কেষ্ট-কাজলের দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকাশ্যে আসে। কখনও বৈঠকে যোগদান না-করে পরস্পরকে এড়িয়ে গিয়ে, আবার কখনও বৈঠক শেষে পরস্পরের নাম ঊহ্য রেখে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বির্তক তৈরি করে দলের অস্বস্তি বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি ভবানীপুরে নিজের পার্টি অফিসে সাংগঠনিক বৈঠকের মাঝে কেষ্ট এবং কাজলের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মনে করা হচ্ছে, সেই থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। গত সপ্তাহে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের শেষে কোর কমিটির কোনও সদস্য প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। ফলে আর নতুন করে বির্তক দানা বাঁধেনি।

কোর কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘দলের শীর্ষনেতারা আমাদের সকলকেই সংবাদমাধ্যমে কোর কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন। পরে আমাদের জানানো হয়, কাজল ও কেষ্টদার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা যে ভাবে বৈঠকের পর বার বার প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই তাঁদের দু’জনের সঙ্গে আমাদেরও মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ আমরা সবাই মেনে চলছি। আপাতত প্রাথমিক ভাবে এই কৌশলে দল সফল হয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন