SIR in West Bengal

কাকলির পরিবারের সদস্যদের এসআইআর-শুনানিতে তলব, নোটিস নবতিপর মাকেও! তৃণমূল সাংসদ বলছেন, ‘হেনস্থার চেষ্টা’

শনিবার থেকে রাজ্যে এসআইআর-শুনানি শুরু হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ডাকা হচ্ছে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় থাকা ভোটারদের। নোটিস পেয়েছেন কাকলির মা-সহ পরিবারের চার জন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৪৪
এসআইআর-শুনানি নিয়ে অসন্তুষ্ট বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

এসআইআর-শুনানি নিয়ে অসন্তুষ্ট বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানিতে তলব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েছেন কাকলির নবতিপর মা ইরা মিত্র-সহ চার জন। কমিশনের বিরুদ্ধে অকারণ হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন বারাসতের সাংসদ।

Advertisement

শনিবার থেকে রাজ্যে এসআইআর-শুনানি শুরু হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ডাকা হচ্ছে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় থাকা ভোটারদের। যাঁরা এনুমারেশন ফর্মে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ দেখাতে পারেননি, তাঁরা ‘নো ম্যাপিং’ তালিকাভুক্ত। শুনানিতে তাঁদের নথি খতিয়ে দেখা হবে। সেই পর্বেই ডাক পেয়েছেন কাকলির পরিবারের সদস্যেরা। মা ছাড়াও ডাকা হয়েছে কাকলির বোন এবং দুই পুত্রকে। কাকলির মা নবতিপর হওয়ায় তাঁকে শুনানিকেন্দ্র হাজিরা দিতে হবে না। তাঁর ক্ষেত্রে কমিশনের প্রতিনিধি বাড়িতে আসবেন। তবে বাকিদের হাজিরা দিতে হবে।

কাকলির মা এবং বোন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র বিশ্বনাথ এবং বৈদ্যনাথ পেশায় চিকিৎসক। তাঁরা কলকাতার ভোটার। কেন এসআইআর-এর শুনানিতে তাঁদের ডাকা হল, নোটিসে কী কারণ উল্লেখ করেছে কমিশন, তা খোলসা করেননি কাকলি। কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা তো যাকে ইচ্ছা বাদ দিতে চাইছে। সেই কারণেই এ ভাবে ডাকা হচ্ছে। আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই যদি এটা হয়, তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে।’’

শুনানিতে মা, বোন এবং পুত্রদের তলব প্রসঙ্গে দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন কাকলি। সেখানে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কিছু নথিও প্রকাশ্যে আনবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুধু ‘নো ম্যাপিং’ তালিকা নয়, এর বাইরেও কয়েক জনকে কমিশন শুনানিতে তলব করতে পারে। সূত্রের খবর, আরও ১.৩৬ কোটি ভোটারকে এনুমারেশন ফর্মের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নামের বানান, বয়স, বাবা বা মায়ের নাম, ঠিকানা সংক্রান্ত কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে। ‘নো ম্যাপিং’ তালিকার সকলের শুনানি হয়ে গেলে সেই সন্দেহভাজনদের শুনানিতে ডাকা হতে পারে। রাজ্যে এসআইআর-এর শুনানি প্রক্রিয়া চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

Advertisement
আরও পড়ুন